শিক্ষার্থীদের বাস্তব মেধা মূল্যায়ন করে তাদের কাঙ্খিত পথ দেখাতে হবে। আজকে যারা বৃত্তি পেয়েছে, তাদেরকে পড়ালেখার মাধ্যমে এমন জীবন গঠন করতে হবে ভবিষ্যতে যেন তারা এরকম মেধাবী শিক্ষার্থীদেরকে বৃত্তি দিতে পারে। আর এই জন্য নিজেদের জীবনকে এখন থেকেই অনুশীলন ও অধ্যাবসায়ে গুরুত্ব দিয়ে গড়ে তুলতে হবে। ২০৪১ সালের উন্নত বাংলাদেশের উন্নত নাগরিক হবে তোমরাই। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন দেখছিলাে বলেই আজকের এই বাংলাদেশ উন্নয়নের পথে। তাই স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ লক্ষ্যে উন্নয়নের পথে আমরা সবাই সহযাত্রী। আর স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট নাগরিক হবে আমাদের এই প্রজন্মের সন্তানরা।
দি অপটিমিষ্টস্ বাংলাদেশ এর আয়োজনে বুধবার কুমিল্লা নগরীর বাগিচাগাও এলাকায় অবস্থিত কুমিল্লা আইডিয়াল কলেজ মিলনায়তনে কুমিল্লা জেলার ৯৩ জন শিক্ষার্থীকে চাইল্ড স্পন্সরশীপ মেধাবৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।
কুমিল্লা আইডিয়াল কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ ও দি অপটিমিষ্টস্ বাংলাদেশ এর উপদেষ্টা মহিউদ্দিন লিটনের উপস্থাপনায় কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান তারিকুর রহমান জুয়েলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কানিজ ফাতেমা। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র কাউছারা বেগম সুমী।
বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ ইন্সপেক্টর আলী আশরাফ মোল্লা, দি অপটিমিষ্টস্ কুমিল্লার সমন্বয়ক শাহানা হক,আর আর ফাউন্ডেশন এর চেয়ারম্যান রুমি রহমান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা আইডিয়াল কলেজের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা, ইসলামের ইতিহাসও সংস্কৃতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আদনান ছাত্তার মজুমদার, হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ইমতিয়াজ মজুমদারসহ দি অপটিমিষ্টস্ বাংলাদেশ এর বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকগণ।
অপটিমিষ্টস্ বাংলাদেশ এর উপদেষ্টা অধ্যক্ষ মহিউদ্দিন লিটন জানান, এবছর দুই ধাপে বৃত্তি দেয়া হবে। প্রথম ধাপে জানুয়ারি থেকে জুন ৬ মাসের একসাথে জন প্রতি ৬ হাজার টাকা দেয়া হয় এবং ডিসেম্বর আরো ৬ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, অসহায় মানুষের মাঝে আশার প্রদীপ জ্বালানোর লক্ষ্যে ২০০১ সালে বাংলাদেশ সরকারের সমাজসেবা অধিদপ্তরের অনুমোদন নিয়ে মৌলভীবাজার জেলায় দি অপটিমিষ্টস’র গোড়াপত্তন ঘটে। সংস্থাটি ২০০৬ সালের ২৬ ডিসেম্বর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের এনজিও বিষয়ক ব্যুরো থেকে বিদেশী সংস্থা হিসেবে নিবন্ধিত হয়। এই সংস্থা ‘চাইল্ড স্পন্সরশীপ’ ও ‘স্পেশাল স্পন্সরশীপ’-এর মাধ্য তাদের শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। আর শিক্ষার্থী নির্বাচনে পারিবারিক আর্থিক অবস্থা ও মেধাকে অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে।
Last Updated on March 22, 2023 11:47 pm by প্রতি সময়