কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক্স-রে মেশিন তিন মাস ধরে বন্ধ। এতে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০২০ সালে এক্স-রে মেশিনটি দেয় স্বাস্থ্য বিভাগ। সেটি দিয়েই চলছিল চিকিৎসাসেবা। এ বছরের জুন মাসের ৫ তারিখ এক্স-রে মেশিনের অপারেটর ইউনুস অবসরে যান। ফলে গত প্রায় তিন মাস মেশিনটি বন্ধ।
রবিবার ৫০ শষ্যার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে গিয়ে দেখা যায়, বহির্বিভাগে দেড় শতাধিক রোগী ভিড় করে আছে। এদের ৪০ থেকে ৫০ জনকে অন্যান্য পরীক্ষার সঙ্গে এক্স-রে করার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
মুরাদনগর সদরের বাসিন্দা নূরু মিয়ার ছেলে রুবেল বলেন, রবিবার দুপুরে (গতকাল) অটোরিকশা অ্যাক্সিডেন্ট করে মুরাদনগর হাসপাতালে গেলে ডাক্তার আমাকে এক্স-রে করতে বলে। গিয়ে দেখি এক্স-রে কক্ষ বন্ধ। তাই হাসপাতালের সামনে একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গিয়ে ৪শ টাকা দিয়ে এক্স-রে করাই। রির্পোটে আসে আমার কোনো হাড় ভাঙ্গে নাই। কিন্তু অসম্ভব রকমের ব্যাথা হওয়ার কারণে ডাক্তার আমাকে কুমিল্লা জেলা সদরে প্রেরণ করেন। জেলা হাসপাতালে গিয়ে এক্স-রে করালে সেই রির্পোটে আসে আমার বুকের নয়টি হাড় ভেঙ্গে গেছে।
যাত্রাপুর গ্রাম থেকে আসা রোগী সোদন মিয়া বলেন, মেশিনের অপারেটর না থাকায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বাইরে থেকে আমার হাতের এক্স-রে করাতে হয়েছে। এতে ৫০০ টাকা খরচ হয়েছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক্স-রে করাতে পারলে অনেক কম টাকা লাগতো। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এক্স-রে করাতে ৫৫ টাকা লাগে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এনামুল হক বলেন, ২০১৪ সাল থেকে ব্রাহ্মনপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে একজন অপারেটর সপ্তাহে শনি, রবি, সোম এই তিনদিন এখানে এক্স-রে মেশিন অপারেট করতেন। গত জুন মাসে তিনি এলপিআরে চলে যান। বিষয়টি আমি জেলা সিভিল সার্জন মহোদয়কে জানালে তিনি দেবিদ্বার উপজেলা থেকে একজন দিয়েছেন। তিনি সপ্তাহে সোম ও মঙ্গলবার এ দুইদিন এখানে সময় দিবেন।
কুমিল্লা জেলা সিভিল সার্জন ডা. নাছিমা আক্তার বলেন, এক্স-রে অপারেটর নিয়োগ প্রক্রিয়াধীন। আশা করি দ্রুতই সমস্যার সমাধান হবে।
Last Updated on August 28, 2023 9:43 pm by প্রতি সময়