কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় অ্যানথ্রাক্স (তড়কা) রোগে একসঙ্গে চার গরুর মৃত্যুর ঘটনায় স্থানীয় খামারী ও গৃহস্থদের মাঝে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। সম্প্রতি উপজেলার সাহেবাবাদ উত্তর পশ্চিমপাড়া গ্রামে বাচ্চু মিয়ার খামারে এঘটনা ঘটে।
গরুগুলোই ছিল বাচ্চু মিয়ার আয়ের প্রধান অবলম্বন। একসঙ্গে চার গরুর মৃত্যুতে বড় ধরণের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়লো পরিবারটি। অন্যদিকে গ্রামের ছোটখাটো খামারি ও গৃহস্থরা তাদের প্রতিপালন করা গরু নিয়ে আ্যানথ্রাক্স আতঙ্কে পড়েছেন।
খামার মালিক বাচ্চু মিয়া জানান, প্রতিদিনের ন্যায় গত শনিবার সন্ধ্যায় খামারে গরু বেধে ঘাস ও খড় দিয়ে বসত ঘরে চলে যাই। পরে রাত প্রায় নয়টার দিকে আবারো গরুগুলো দেখতে খামারে আসি। এসময় দুইটি গরু অসুস্থ হয়ে পড়ে থাকতে দেখে আমার স্ত্রী মনোয়ারা ও ছেলে আরিফকে নিয়ে গরু দুইটিকে দাঁড় করানোর চেষ্টা করি। এরিমধ্যে আরও দুইটি গরু অসুস্থ হয়ে পড়ে। তখন স্থানীয় পশু চিকিৎসককে খবর দিলে তিনি এসে গরুগুলোকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে যান। কিন্তু এতে কোন লাভ হয়নি। রাত তিনটা থেকে পরদিন সকাল পর্যন্ত এক এক করে চারটি গরুই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। বিষয়টি উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তাকে খবর দিলে তিনি এসে গরুগুলো দেখে জানান, খামারের গরুগুলো অ্যানথ্রাক্স (তড়কা) রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে।
বাচ্চু মিয়ার ছেলে আরিফুর ইসলাম জানান, প্রথমে দুইটি উন্নত জাতের গরু দিয়ে খামার শুরু করে। পরে তা বেড়ে ৪টিতে দাঁড়ায়। ধীরে ধীরে এই গরুগুলোর মাধ্যমে একটি বড় খামারের আশা ছিল তাদের। কিন্তু গরুগুলোর আকস্মিক মৃত্যুর মধ্যদিয়ে সেই স্বপ্নেরও মৃত্যু ঘটেছে।
ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা শুভ সূত্রধর বলেন, গরুগুলোর মধ্যে অ্যানথ্রাক্স রোগের লক্ষণ ছিল। এই রোগে আক্রান্ত হয়ে ৩ থেকে ৪ ঘন্টার মধ্যে গরু মারা যাওয়ার সম্ভবনা থাকে। যা বাচ্চু মিয়ার গরুগুলোর ক্ষেত্রে ঘটেছে। তিনি রোগের লক্ষণ বুঝতে পারেননি বলেই গরুগুলো বাঁচানো যায়নি।
ক্ষতিগ্রস্থ খামার মালিককে সরকারিভাবে সহযোগিতার বিষয়ে প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা বলেন, এই ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে কথা হয়েছে, আশা করি প্রশাসনের পক্ষ থেকে আর্থিক সহযোগিতা করা হবে।
# দেশ-বিদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে প্রতিসময় (protisomoy) ফেসবুক পেইজে লাইক দিন। এছাড়াও ভিডিও নিউজ দেখতে protisomoy news ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন ও বেলবাটন ক্লিক করে নতুন নতুন নিউজ পেতে অ্যাকটিভ থাকুন।
Last Updated on October 19, 2020 11:57 pm by প্রতি সময়