কুমিল্লার লাকসামে বিএনপির গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় কারো হাত, কারো পা ভেঙ্গেছে, কেউবা মাথায়, বুকে গুরুতর আঘাত পেয়েছেন।আহত নেতাকর্মীরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এরমধ্যে কুমিল্লা নগরীতে আকন্দ হসপিটালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করানো হয় ১৩জনকে। তারা সবাই মুরাদনগর উপজেলা বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী। গত এক সপ্তাহ ধরে তারা ওই হসপিটালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। মুরাদনগর উপজেলা বিএনপি নেতাদের দাবি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোক পরিচয়ে হামলায় আহত হয়ে এখনো অসুস্থ দশ নেতাকর্মীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে হসপিটাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে চলে যেতে বাধ্য করেছে। তবে কুমিল্লার পুলিশ সুপার বিষয়টি মিথ্যা বলে দাবি করেছেন।
মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. কামাল উদ্দিন ভূইয়া দাবী করে গণমাধ্যমকে জানান, শনিবার বেলা ১২টার দিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোক পরিচয়ে কয়েকজন আকন্দ হসপিটালে গিয়ে প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যানের কাছে আহতদের বিষয়ে খবর নেন। পরে ইমার্জেন্সি রোগী রেখে বাকিদের হসপিটাল থেকে ছাড়পত্র দিতে বলেন। এসময় হসপিটালের চেয়ারম্যান আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোক পরিচয় দেওয়া ব্যক্তিদের বলেন রোগীরা এখনও পুরোপুরি সুস্থ নয়, এরপরও তারা কোন কথা শুনতে চায়নি। পরে ইমার্জেন্সি তিনজনকে অপরাশেনের জন্য রেখে বাকি দশ জনকে ছাড়পত্র দিতে বাধ্য হন।
আকন্দ হসপিটালের এ ঘটনার সতত্য নিশ্চিত করেছেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান কাজী তাহমিনা আক্তার। তিনি এ বিষয়ে গণমাধ্যমে কথাও বলেছেন।
তবে এবিষয়টি মিথ্যা বলে দাবি করে গণমাধ্যমকে কুমিল্লা পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান (পিপিএম বার) বলেন,‘এটা মিথ্যা কথা, এটা তারা প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। আমার পুলিশের আর কী কোন কাজ নাই। হসপিটালে তাদের কি কাজ ? এবিষয়ে আপনারা হাসপাতালের কর্তৃপক্ষকে জিজ্ঞেসা করুন।’
Last Updated on July 22, 2023 8:48 pm by প্রতি সময়