‘ডিমে পুষ্টি ডিমে শক্তি, ডিমে আছে রোগমুক্তি’- এ প্রতিপাদ্যে এবারে পালিত হচ্ছে ‘বিশ্ব ডিম দিবস’।
ডিমের গুণগতমান সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে প্রতিবছর অক্টোবরের দ্বিতীয় শুক্রবার বিশ্বব্যাপী এই দিবসটি পালন করা হয়।
আজ শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) দেশে পালিত হচ্ছে ‘বিশ্ব ডিম দিবস’।
দিবসটি উপলক্ষে এবার তেমন কোনো আয়োজন নেই। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ছোট পরিসরে আলোচনা সভার আয়োজন করেছে।
বিশ্বে যে কয়টি খাদ্যকে সুপার-ফুড হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয় সেগুলোর মধ্যে অন্যতম ডিম। গত বছর ডিমের বাৎসরিক প্রাপ্যতা বেড়ে মাথাপিছু ১৩৬টি থাকলেও এ বছর একটি কমে ১৩৫টিতে নেমেছে।
তবে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) পুষ্টিমান অনুসারে, সুস্থ থাকতে প্রতিটি মানুষের বছরে ন্যূনতম ১০৪টি ডিম খাওয়া প্রয়োজন। তবে এর বেশি খেলেও ক্ষতি নেই বলে জানিয়েছেন পুষ্টি বিশেষজ্ঞরা।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক (উৎপাদন) ড. এ বি এম খালেদুজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেছেন, এ বছর ডিমের প্রাপ্যতা কিছুটা কমেছে। গত বছর প্রাপ্যতা ১৩৬টি ছিল, এবার ১৩৫টি। ফিডের ক্রাইসিসের কারণে জনপ্রতি প্রাপ্যতা একটু কমেছে। যেহেতু কিছু খামার সমস্যায় পড়েছে, তাই এবার প্রাপ্যতা বাড়েনি।
উল্লেখ্য, ১৯৯৬ সালে অনুষ্ঠিত আইইসি ভিয়েনা কনফারেন্স থেকে দীর্ঘ ২৭ বছর ধরে বিশ্বব্যাপী চলছে একটি ইতিবাচক ক্যাম্পেইন। যার মধ্যদিয়ে বিশ্বের মানুষের পুষ্টি চাহিদা পূরণে ডিমের প্রয়োজনীয়তার বার্তাটি সবার কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে- প্রতি বছর অক্টোবরের দ্বিতীয় শুক্রবারে বিশ্বজুড়ে উদযাপিত হয় ‘বিশ্ব ডিম দিবস’।
Last Updated on October 13, 2023 2:16 pm by প্রতি সময়