শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:০৫ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
সাঈদের খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে মুরাদনগরে মানববন্ধন মনোনয়ন না দেওয়ায় ব্যারিস্টার মামুন সমর্থকদের বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ মনিরুল হক চৌধুরীর হাত ধরেই কুমিল্লা উন্নয়নে সমৃদ্ধ হয়েছে : কুসিকের সাবেক কাউন্সিলরগণ ঠোঁটে লিপস্টিক পরা হলো না আদিবার কুমিল্লার একই পরিবারের ৫ জনের কক্সবাজার আনন্দযাত্রা সড়কেই শেষ কুমিল্লার রামমালা ডিজিটাল সংরক্ষণে উদ্যোগ নেওয়া হবে : তথ্য উপদেষ্টা  শিশু আদিবা হত্যার ঘটনায় চাচাতো ভাই গ্রেফতার কুমিল্লার নয়টি আসনে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা, দুটির সিদ্ধান্ত পরে চান্দিনায় পুকুরে ডুবে প্রাণ গেলো ১৪ মাস বয়সী আরিয়ানের  মুরাদনগরে তিনটি গ্যাসফিল্ড, কিন্তু আবাসিক খাতেই বঞ্চিত লক্ষাধিক পরিবার সাংবাদিকদের জীবন ও কর্মক্ষেত্র এখনও নিরাপদ নয় # নির্যাতিত দশ সাংবাদিককে সম্মাননা দিল সাংবাদিক কল্যাণ পরিষদ কুমিল্লা দৈনিক আজকের জীবন সবসময় সাহসী ও বস্তনিষ্ঠ সাংবাদিকতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে : প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে বক্তারা চান্দিনায় জাতীয় সমবায় দিবস উদযাপন স্ত্রীর ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে চান্দিনা থেকে শ্যালকের শিশুপুত্রকে অপহরণের একদিন পর উদ্ধার চান্দিনায় প্রয়াত প্রথম স্ত্রীর সন্তানের বিরুদ্ধে সৎ মাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ দাউদকান্দিতে গরু চোর চক্রের চার সদস্য আটক মুরাদনগরে নিখোঁজের সাতদিন পর শিশু মীমের লাশ মিললো ডোবায়, হাত ও গলায় রশি প্যাঁচানো সদর দক্ষিণে ঘর পোড়ানোর মামলা করে আসামিদের হুমকির মুখে বাদী জালিয়াতি করে নাম স্বাক্ষর ব্যবহার করায় বুড়িচং উপজেলা বিএনপি সভাপতির ক্ষোভ চান্দিনায় স্বর্ণ ও সঞ্চয়ের কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা পর্শীয়া জুয়েলার্সের প্রদীপ

আত্মগোপনে থাকার পর হঠাৎ প্রকাশ্যে এসে নগর যুবলীগ ক্যাডার জনুর ত্রাস, গ্রেফতার অভিযানে নেমেছে পুলিশ

প্রতিসময় রিপোর্ট
  • আপডেট টাইম সোমবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ১০৬ দেখা হয়েছে

কুমিল্লা নগরীর পূর্বাঞ্চলে মহানগর যুবলীগের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে যারা মাদক ও চোরাচালান কারবার নিয়ন্ত্রণ করতেন তাদের ডানহাত হিসেবে এসব কারবার দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন নগর যুবলীগের শীর্ষ ক্যাডার, একাধিক হত্যা মামলার আসামি সংরাইশ এলাকার জনু মিয়া। আওয়ামী লীগ ও নগর যুবলীগের শীর্ষ নেতাদের আশীর্বাদপুষ্ট জনুর একাধিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনা, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও সীমাহীন অত্যাচার সংরাইশ এলাকার সাধারণ মানুষের জীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছিল।

 

শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশ ছেড়ে পলায়নের পর কুমিল্লার আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের চিহ্নিত নেতাকর্মী ও ক্যাডাররা আত্মগোপনে চলে গেলেও কুমিল্লা মহানগর যুবলীগের ক্যাডার ও তিনটি হত্যা মামলার আসামি জনু মিয়া কিছুদিন লুকিয়ে থাকার পর প্রকাশ্যে এসে এলাকায় চাঁদাবাজি ও ত্রাস সৃষ্টি করে যাচ্ছে। কুমিল্লা নগরীর সংরাইশ এলাকার সাধারণ মানুষ গত দুই দিন ধরে জনু ও তার বাহিনীর সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়ে ভীতসন্ত্রন্ত হয়ে পড়েছেন। ভুক্তভোগীরা রবিবার রাতে কোতোয়ালি থানা পুলিশের সহযোগিতা চেয়ে ও সন্ত্রাসী জনুর গ্রেফতার দাবী করে অভিযোগ দায়ের করেছেন।

 

সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কুমিল্লা কোতোয়ালি থানার ওসি ফিরোজ হোসেন জানান, জনু মিয়া চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও যুবলীগের ক্যাডার। তার বিরুদ্ধে একাধিক হত্যা মামলা রয়েছে। মাস চারেক আগে সে জামিনে জেল থেকে বের হয়। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সে গা ঢাকা দেয়। ইদানিং এলাকায় ফিরে এসে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাচ্ছে। রবিবার রাতে সংরাইশের দুইটি বাড়িতে জনু ও তার লোকজন চাঁদার দাবিতে হামলা ও ভাংচুর করেছে। ভুক্তভোগীরা এ ব্যাপারে দুটি অভিযোগ করেছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশের টিম গিয়েছে, কিন্তু তাকে ও তার বাহিনীর লোকজনকে পায়নি। পুলিশ চিহ্নিত সন্ত্রাসী জনু মিয়াকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে।

 

 

এদিকে বাড়িঘরে হামলা ও ভাংচুরের শিকার সংরাইশ এলাকার কালু মিয়া ও পাবেল মিয়া জানান, গত ১৫ বছর জনু মিয়া ও তার লোকজন সংরাইশ এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। মাদক, চোরাচালান, চাঁদাবাজি থেকে শুরু করে হেন কাজ নেই জনু বাহিনী করেনি। হত্যা মামলার আসামি যুবলীগের ক্যাডার জনু জেল থেকে ছাড়া পাবার পর থেকেই এলাকায় ফের চাঁদাবাজি শুরু করে। শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও পালিয়ে যাবার পর জনু তার নেতাদের মতো কয়েকদিন আত্মগোপনে ছিল, কয়েকদিন আগে সে এলাকায় তার বাহিনী নিয়ে মানুষকে ভয়ভীতি দেখাতে শুরু করে। চাঁদা না দেওয়ায় জনু ও তার লোকজন রবিবার বিকেলে বাড়ি ঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। এঘটনায় রবিবার রাতেই কালু মিয়া ও পাবেল মিয়া কোতয়ালি থানায় দুইটি অভিযোগ দায়ের করেন।

 

উল্লেখ্য, কুমিল্লা মহানগর যুবলীগের শীর্ষ নেতাদের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে থেকে জনু এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। নগরীর পূর্বাঞ্চলে মাদক ও চোরাচালান কারবার পরিচালনা করতো জনু মিয়া। তার বিরুদ্ধে তিনটি হত্যা মামলা রয়েছে। ২০১৫ সালে কুমিল্লা নগরীর সংরাইশ এলাকায় মো. সহিদ মিয়া নামের এক বাসের হেলপারকে কুপিয়ে হত্যা মামলার আসামি জনু মিয়া। ২০০৩ সালে সংরাইশ এলাকায় মুহিন নামে এক যুবক হত্যা মামলার প্রধান আসামি জনু মিয়া। এছাড়াও ২০২০ সালের মার্চ মাসে কুমিল্লা নগরীর চকবাজারের ব্যবসায়ি ও বৃহত্তর সংরাইশ টিক্কাচর সমাজ কল্যাণ পরিষদের সর্দার আব্দুল মতিন হত্যা মামলারও আসামি এই জনু। নগর যুবলীগের এক শীর্ষ নেতা ছিলেন জনুর গডফাদার।

শেয়ার করুন
এই ধরনের আরও খবর...

বিস্তারিত জানতে ছবিতে ক্লিক করুন।

themesba-lates1749691102
error: Content is protected !!