শনিবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৫:১০ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কুমিল্লার সাত ইউএনও-ওসির রদবদল জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই তথ্যের আবশ্যকতা রয়েছে : বাউবি কুমিল্লা অঞ্চলের পরিচালক হিমেল-তৌসিফের নেতৃত্বে কুবি আইটি সোসাইটি কুমিল্লা এলজিইডিতে জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধে সভা অনুষ্ঠিত আজ ঐতিহাসিক ৮ ডিসেম্বর, কুমিল্লা মুক্ত দিবস পেশাগত স্বচ্ছতাই পারে সমাজে সত্য ও সুন্দর প্রতিষ্ঠায় ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে : কুমিল্লা প্রেসক্লাব সভাপতি কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে মহান বিজয়ের মাস জুড়ে কর্মসূচির উদ্বোধন কুমিল্লা নগরীর উনাইসারে বাসে আগুন দেবিদ্বার আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল কালাম আজাদকে হুমকি : স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতাকে নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির নোটিশ ব্রাহ্মণপাড়ায় বাল্য বিয়ে থেকে রক্ষা পেল সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী কুবিতে ভলিবল টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন ফিন্যান্স ও বাংলা বিভাগ দলবদল ডিগবাজি নয়, সাংবিধানিক অধিকার : ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর মুরাদনগরে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বিরুদ্ধে সেবা প্রত্যাশি ও গ্রাহকদের নানা অভিযোগ কুমিল্লার ১১টি আসনে নির্বাচনি নির্বাচনপূর্ব অনিয়ম প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে অনুসন্ধান কমিটি জীবনধারার পরিবর্তনই নিজের ও পরিবারের সবার হার্টকে সুস্থ রাখবে : ডা. তৃপ্তীশ কুমিল্লার ১১টি আসনে ৫৬ জনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা কুমিল্লার ৫টি সংসদীয় আসনে ২৯ জনের মনোনয়ন বৈধ, বাতিল ও স্থগিতের তালিকায় হেভিওয়েট ৯ স্বতন্ত্র প্রার্থী দাউদকান্দি-তিতাস এলাকায় মেরিন ফিশারী একাডেমি প্রতিষ্ঠা করা হবে : ইঞ্জিনিয়ার সবুর ভূমিকম্পে কুবির আবাসিক হলের দেয়ালে ফাটল মনোনয়ন বাতিলের ষড়যন্ত্র চলছে, সংবাদ সম্মেলনে কুমিল্লা-৭ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী টিটুর অভিযোগ

ইউরোপ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে করোনার নতুন ধরন ।। দ্রুত ছড়ালেও খুব বেশি অসুস্থ করছে না : গবেষণা

প্রতিসময় ডেস্ক
  • আপডেট টাইম শনিবার, ৪ জুলাই, ২০২০
  • ২৭৪ দেখা হয়েছে

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার লা জোলা ইনস্টিটিউট ফর ইমিউনোলজি এবং করোনাভাইরাস ইমিউনোথেরাপি কনসোর্টিয়ামের এক গবেষণায় করোনাভাইরাসের রূপান্তর এবং সংক্রমণ নিয়ে নতুন তথ্য উঠে এসেছে। গবেষণার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট লা জোলার অধ্যাপক এরিকা ওলম্যান সাফায়ার বলেছেন, নতুন রূপান্তরিত ভাইরাসটি বেশি মানুষকে সংক্রমিত করতে পারলেও ‘খুব বেশি অসুস্থ’ করে ফেলতে পারে না বলেও গবেষণায় উঠে এসেছে।  তবে করোনাভাইরাসের নতুন এ ‘ধরন’ ইউরোপ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ছড়িয়ে পড়েছে বলে একটি গবেষণায় জোর প্রমাণ মিলেছে। সুত্র: সিএনএন

বিজ্ঞানবিষয়ক সাময়িকী সেলে প্রকাশিত এই গবেষণা কিছু পূর্ববতী কাজের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়; যা চলতি বছরের শুরুর দিকে প্রি-প্রিন্ট সার্ভারে প্রকাশ হয়েছিল। গবেষকদের জেনেটিক সিকোয়েন্স সম্পর্কিত তথ্যে ভাইরাসটির একটি নির্দিষ্ট সংস্করণে রূপান্তরের ইঙ্গিত মিলেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের এই গবেষক দল শুধু জেনেটিক সিকোয়েন্সই পরীক্ষা করেনি বরং তারা ল্যাবে মানুষ, প্রাণী এবং কোষে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়েছে। এতে দেখা যায়, ভাইরাসটির রূপান্তরিত সংস্করণটি আরও বেশি সাধারণ এবং অন্যান্য সংস্করণের চেয়ে বেশি সংক্রামক হয়ে উঠেছে। ওলম্যান সাফায়ার বলেন, আমরা জানি, নতুন ভাইরাসটি নিজেকে অভিযোজিত করতে পারে।

ভাইরাসটির রূপান্তর স্পাইক প্রোটিনকে প্রভাবিত করে। অর্থাৎ এটি যে কাঠামো ব্যবহার করে সংক্রমিত কোষে প্রবেশ করে তাতে প্রভাব ফেলে। ভ্যাকসিন দ্বারা ভাইরাসটিকে নিয়ন্ত্রণ করা যায় কিনা- এখন গবেষকরা সেটি পরীক্ষা করে দেখছেন।

বর্তমান যেসব ভ্যাকসিন পরীক্ষা করা হয়েছে, সেসবের অধিকাংশই স্পাইক প্রোটিনকে লক্ষ্য করে পরীক্ষা করা হয়েছে; কিন্তু এসব ভ্যাকসিন ভাইরাসটির পুরনো স্ট্রেইন ব্যবহার করে তৈরি করা হয়। গবেষকরা করোনাভাইরাসের নতুন রূপান্তরকে জি৬১৪ বলেছেন। তারা দেখেছেন, ইউরোপ এবং আমেরিকায় ছড়িয়ে পড়া ভাইরাসটির ডি৬১৪ নামের প্রথম সংস্করণকে প্রায় পুরোপুরি প্রতিস্থাপিত করেছে।

গবেষণায় লস আলামস ন্যাশনাল ল্যাবরেটরির তাত্ত্বিক জীববিজ্ঞানী বেত্তে করবার ও তার সহকর্মীরা বলেছেন, আমাদের বৈশ্বিক ট্র্যাকিং তথ্য-উপাত্ত দেখাচ্ছে, স্পাইকে ডি৬১৪ ভ্যারিয়েন্টের চেয়ে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে জি৬১৪। তারা বলেছেন, ভাইরাসটি আরও বেশি সংক্রামক হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে মজার বিষয় হচ্ছে, আমরা রোগটির তীব্রতার ক্ষেত্রে জি৬১৪-এর প্রভাবের প্রমাণ পাইনি।

এই গবেষণার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট না থাকলেও যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব ওয়ারউইকের মেডিক্যাল অনকোলজির অধ্যাপক লরেন্স ইয়ং বলেন, এটা সুসংবাদ হতে পারে। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, সাম্প্রতিক এই গবেষণা বলছে, করোনাভাইরাসের জি৬১৪ ভ্যারিয়েন্টটি আরও বেশি সংক্রামক হতে পারে। তবে এটা ততবেশি প্যাথোজেনিক নয়। একটি আশা আছে যে, সার্স-কোভ-২ এর সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভাইরাসটি কম প্যাথোজেনিক হতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপে করোনায় আক্রান্তদের শরীর থেকে নমুনা নিয়ে জিনোম সিকোয়েন্সিং করেছেন গবেষকরা। এর মাধ্যমে তারা করোনার দুটি ভ্যারিয়েন্টের তুলনা করে দেখেছেন। গবেষকরা বলেছেন, মার্চের শুরুর দিকে জি৬১৪ ভ্যারিয়েন্টটি ইউরোপের বাইরে বিরল ছিল। কিন্তু মার্চের শেষের দিকে বিশ্বজুড়েই এর ফ্রিকোয়েন্স বৃদ্ধি পায়।

তারা বলেছেন, করোনার নতুন সংস্করণটির সংক্রমণ উচ্চ শ্বাসনালী– নাক, সাইনাস এবং গলাতে দ্রুতগতিতে বেড়েছে বলে মনে হচ্ছে। যা ভাইরাসটির সহজে ছড়িয়ে পড়ার কারণ ব্যাখ্যা করবে। তবে ব্রিটেনে হাসপাতালে ভর্তি এক হাজার করোনা রোগীর ওপর পরীক্ষায় দেখা গেছে- নতুন সংস্করণে আক্রান্তদের শরীরে ভাইরাসটির মূল স্ট্রেইনে আক্রান্তদের তুলনায় খারাপ কিছু ঘটেনি।

সুত্র: সিএনএন

Last Updated on July 4, 2020 2:58 pm by প্রতি সময়

শেয়ার করুন
এই ধরনের আরও খবর...

বিস্তারিত জানতে ছবিতে ক্লিক করুন।

themesba-lates1749691102