এসো হে বৈশাখ এসো এসো.. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা গানের সুরে সুরে বাঙালি জাতির ঐতিহ্যবাহী বর্ষবরণের প্রথম সকালে পহেলা বৈশাখকে বরণ করেছে জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ, কুমিল্লা জেলা শাখা।
শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখের সকাল সাড়ে সাতটায় কুমিল্লা নগরীর ধর্মসাগর পাড়ে নজরুল ইন্সটিটিউটের মুক্তমঞ্চে গান কবিতা নৃত্য আর নতুন বছরের প্রতি হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটায় জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ, কুমিল্লা জেলা শাখার সদস্যরা। বৈশাখের প্রথম সকালে সমবেত কণ্ঠে এসো হে বৈশাখ এসো এসো গানে বরণ করা হয় বাংলা নতুন বছর ১৪৩০ বঙ্গাব্দকে। দুই ঘন্টা ব্যাপী বর্ষবরণের পুরো আয়োজন ছিল বর্ণিল।
বৈশাখের গান ছাড়াও সবার কন্ঠে বাউল, লালন, হাছন ও লোক সঙ্গীতের সুরের মুর্ছনা আর মনোমুগ্ধকর কবিতা আবৃত্তি সামগ্রিক আয়োজনকে প্রাণবন্ত করে তুলে।
সাংস্কৃতিক পরিবেশনা শুরুর আগে বর্ষবরণের তাৎপর্য তুলে ধরে জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ, কুমিল্লা জেলা শাখার সভাপতি ডা. মল্লিকা বিশ্বাস শুভেচ্ছা বক্তব্যে বলেন, পহেলা বৈশাখ তথা বর্ষবরণ উৎসব সার্বজনীন অসাম্প্রদায়িক সাংস্কৃতিক উৎসব। এ উৎসব গোটা বাঙালির কাছে ব্যাপকভাবে সমাদৃত। আমাদের সামগ্রিক কর্মকান্ডে যাতে বাঙালি সংস্কৃতির ভাবধারা প্রকাশ পায়। আমরা যাতে আমাদের সংস্কৃতির শেকড়কে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে পারি, এটাই হোক বর্ষবরণের অঙ্গীকার।
অনুষ্ঠানে কবিতা আবৃত্তি করেন অধ্যাপক সমীর মজুমদার ও সংগঠনের সভাপতি ডা. মল্লিকা বিশ্বাস
অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন মিতা পাল, মল্লিকা বিশ্বাস, রুমা নাথ, বিমল আইচ, আঁচল, জ্যোতি, তনুশ্রী, হীরা, মৈত্রী, ধ্রুব, সৃজিতা, টুসি, আপন, পূজা রায়, আদ্রিতা, প্রতিষ্ঠা, আচল,সুপ্ত, তীর্থ, মনীষা, নোভা, আলপনা, তীর্থ, বন্যা দে, অবন্তী, নিকিতা, প্রেয়সী সহ অন্যান্যরা।
নৃত্য পরিবেশন করেন তনুশ্রী, সৃজিতা, প্রতিষ্ঠা দাস । সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় যন্ত্রশিল্পী ছিলেন কিবোর্ডে শ্যামা প্রসাদ মজুমদার, অক্টোপ্যাডে সুজন দাস, তবলায় সুমন রায় ও মন্দিরায় গৌতম। সংগীত পরিচালনায় ছিলেন সংগঠনের সঙ্গীত বিষয়ক প্রশিক্ষক মিতা পাল।
সাংস্কৃতিক পরিবেশনা শেষে নগর উদ্যান সড়কে বর্ষবরণ শোভাযাত্রা বের করে জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ, কুমিল্লা জেলা শাখা।
বৈশাখী রঙে নিজেদের সাজিয়ে বর্ষবরণের উচ্ছলতায় মেতে উঠে জাতীয় বরীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদের সদস্যরা বাংলা বছরের প্রথম দিনটি উচ্ছ্বাস উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে অতিবাহিত করে।
Last Updated on April 14, 2023 11:33 pm by প্রতি সময়