# গ্রেফতার হওয়া চোরদের স্বীকারোক্তি" />
সংঘবদ্ধ চোরের দল এতোটাই দক্ষ যে, মাত্র ২০ মিনিটেইে একেকটি বৈদ্যুতিক ট্রান্সফারমার খুলে নিয়ে যেতে সক্ষম হতো। এই চুরির সঙ্গে তিনটি পক্ষ তিনভাবে কাজ করতো। অবশেষে চুরির অভিযোগের প্রেক্ষিতে কুমিল্লাসহ আশপাশের অন্যান্য জেলা থেকে বৈদ্যুতিক ট্রান্সফারমার চুরির মূল হোতাসহ আরও আটজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এনিয়ে দুই দফা অভিযানে ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলা পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান। তিনি বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা চোরের দল থেকে জানা গেছে তারা মাত্র ২০ মিনিটেই একেকটি ট্রান্সফার চুরি করে নিয়ে যেতে সক্ষম হতো। এ ঘটনায় তিনটি পক্ষ জড়িত থাকে। একপক্ষ আগে থেকে ট্রান্সফারমার কোথায় আছে কিভাবে চুরি করতে হবে সে জন্য র্যাকি করে। অপর পক্ষ সুযোগ বুঝে চুরি করে। আরেক পক্ষের মধ্যস্থতায় চুরি হওয়া বৈদ্যুতিক ট্রান্সফারমারগুলো বিক্রি করা হয়।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, গ্রেফতারকৃতরা গেলো কয়েকদিনে কুমিল্লাসহ আশেপাশের জেলা থেকে তিনশতাধিক বৈদ্যুতিক ট্রান্সফারমার চুরি করে। শুধু কুমিল্লার বিভিন্ন থানায় এ সংক্রান্ত ১৩টি অভিযোগ দাখিল করে ভুক্তভোগীরা। এমন ঘটনায় গোয়েন্দা পুলিশ অভিযান চালিয়ে প্রথমে চোর চক্রের মূল হোতাসহ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করে। তাদের দেয়া তথ্য মতো আরো আট জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। চোর চক্রের ১৩ সদস্যকে গ্রেফতারের সময় বিপুল পরিমান বৈদ্যুতিক ট্রান্সফারমারের যন্ত্রাংশ উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে অনেকের বিরুদ্ধে মাদক, ডাকাতি ও চুরিসহ অসংখ্য মামলা রয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো-কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলার কাজিয়াতল এলাকার মোঃ মনির হোসেন, চান্দিনা উপজেলার আইলকামারা গ্রামের মোঃ সোহেল, কুমিল্লা নগরীর ভাটপাড়া এলাকার কামরুল হাসান, তিতাস উপজেলার দক্ষিন দূর্গাপুর গ্রামের মাঈন উদ্দিন, বুড়িচং উপজেলার দক্ষিন গ্রামের রুবেল আহমেদ ওরফে মিন্টু, কুমিল্লার দেবিদ্বারের মোঃ কবির হোসেন, কুমিল্লা সদর উপজেলার দৌলতপুরের জহিরুল ইসলাম, কুমিল্লা সদর দক্ষিন উপজেলার রুবেল, কুমিল্লা লালমাই উপজেলার মাসুদ রানা, একই উপজেলার মেহেদী হাসান ওরফে শাকিল, রবিউল আলম, ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলার আহাম্মদপুর গ্রামের রুবেল, পাবনার বেড়া উপজেলার মোঃ রফিকুল ইসলাম মনছুর।
Last Updated on February 6, 2024 7:54 pm by প্রতি সময়