নিখোঁজের প্রায় এক মাস অতিবাহিত হল, কিন্তু ঘরে ফিরেনি গৃহবধূ রেশমা আক্তার। ফিরে আসার অপেক্ষায় প্রহর গুনছে স্বজনরা। কোথায় রেশমা? কেনই বা শ্বশুরবাড়ি থেকে নিখোঁজ হলো রেশমা? এমন প্রশ্নের উত্তর তার বাবা মা ও স্বামী, স্বজনরা যেমন খুঁজছে, তেমনি রেশমাকে তার মা-বাবা অথবা স্বামীর কাছে ফিরিয়ে দিতে চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে পুলিশ।
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন দৌলতপুর গ্রামের শশুর বাড়ি থেকে গত ২৯ জুলাই সকাল দশটার দিকে বাড়ির কাউকে কিছু না বলে বের হয়ে আর ঘরে ফিরেনি ওই গ্রামের নাসির খানের স্ত্রী রেশমা আক্তার।সে যাত্রাপুর ইউনিয়নের মোচাগড়া গ্রামের মৃত সেলিম মিয়ার মেয়ে।
নিখোঁজের প্রায় এক সপ্তাহ ধরে সম্ভাব্য সকল জায়গায় খুঁজে নেয়া হয় রেশমার। কিন্তু এসব স্থানে সন্ধান মেলেনি রেশমার। পরে ৮ আগস্ট তার স্বামী নাসির খান বাঙ্গরা বাজার থানায় নিখোঁজ সংক্রান্ত সাধারণ ডায়েরি করেন।
বুধবার স্ত্রীর নিখোঁজের বিষয়ে গণমাধ্যমের সহায়তা চেয়ে নাসির খান জানান, প্রায় নয়/দশ মাস চলছে আমাদের বিয়ে হয়েছে। বেশ ভালই চলছিল আমাদের দাম্পত্য জীবন। কখনো কোন বিষয় নিয়ে সংসারে অশান্তি হয়নি। এমন কি রেশমার সঙ্গেও আমার কোন বিষয় নিয়ে মান অভিমান হয়নি কখনো। কেন সে কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে গেল বুঝতে পারছি না। এভাবে তার নিখোঁজ হওয়া নিয়ে আমরা সবাই উদ্বিগ্ন, তার সন্ধান না পাওয়ায় হতাশ হয়ে পড়ছি আমরা। আমাদের ধারণা কোন দুষ্ট লোকের খপ্পরে পড়লো কিনা সে। রেশমার সন্ধানের ব্যাপারে মিডিয়া সহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি অনুরোধ করছি।
রেশমা আক্তারের মা সেলিনা বেগম বলেন, আমার মেয়ে অনেকটা সহজ সরল। কারো সঙ্গে তার কোন মনোমালিন্য ছিল না। কিন্তু এভাবে নিখোঁজ হওয়াটা মেনে নিতে পারছি না। মেয়ের জন্য আমাদের খুব কষ্ট হচ্ছে।
বাঙ্গরা বাজার থানার এসআই ও তদন্তকারী কর্মকর্তা ওবায়দুল্লাহ বলেন, আমি সম্ভাব্য কয়েক জায়গায় নিজেই গিয়েছি। তবে আমি হাল ছাড়ি নাই, তাকে খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, নিখোঁজ রেশমা আক্তার মোবাইল ফোন ব্যবহার করছেন না। তাই প্রযুক্তির সহায়তা নিতে পারছি না, যার ফলে ক্লু পেতে বিলম্ব হচ্ছে। তবে তার সন্ধানে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে
Last Updated on August 30, 2023 9:03 pm by প্রতি সময়