নতুন বছরের দুই মাস পার হয়ে তৃতীয় মাস শুরু হল। ভালোভাবে মনোযোগ দিয়ে রুটিন মাফিক পাঠ্যবই অধ্যয়ন করতে হবে। নতুন অধ্যায়, নতুন বিষয় নিয়মিত অধ্যয়নের মাধ্যমেই আয়ত্ব করা সম্ভব হবে। বিভিন্ন স্কুল শিক্ষার্থীদের বাড়িতে পাঠদানের বিষয়ে বিভিন্ন পদ্ধতি গ্রহণ করেছেন। করোনাকালে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় যাতে বড় কোন সমস্যা না হয় এজন্য শিক্ষকরাও ভূমিকা রাখছেন। শিক্ষকরা অভিভাবকদের বুঝাচ্ছেন-কীভাবে বাড়িতে সন্তানের লেখাপড়ার প্রতি ভূমিকা রাখবেন।
আমরা যারা নজরুল মেমোরিয়াল একাডেমীতে শিক্ষকতা করছি, আমরা আমাদের ছাত্র/ছাত্রীদের লেখাপড়ার ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্য বছরের প্রথম (জানুয়ারি মাস) থেকেই প্রত্যেক শ্রেণির জন্য বিষয়ভিত্তিক শীট তৈরি করছি। অভিভাবকগণ সপ্তাহের প্রতি রবিবারে স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্কুল থেকে সাপ্তাহিক পাঠদানের শীট নিয়ে সন্তানদের পাঠদান দিচ্ছেন। এরই ধারাবাহিকতায় আমরা ছাত্র/ছাত্রীদের জন্য সাপ্তাহিক পরীক্ষার ব্যবস্থা করেছি।
প্রতি সপ্তাহে আমরা একটি বিষয়ে পরীক্ষার প্রশ্ন এবং সাথে আরো দুইটি বিষয়ের শীট দিচ্ছি। ছাত্র/ছাত্রীরা অভিভাবকদের তত্ত্বাবধানে বাসায় পরীক্ষা দিচ্ছে। পরবর্তী সপ্তাহের রবিবারে অভিভাবকগণ পরীক্ষার উত্তরপত্র স্কুলে এসে জমা দিচ্ছেন এবং একই সাথে পরবর্তী সপ্তাহের জন্য পরীক্ষার প্রশ্নসহ পাঠদানের শীট নিচ্ছেন।
আবার আমাদের কাছে জমাকৃত পরীক্ষার খাতা পরীক্ষণ করে নম্বরসহ তা অভিভাবকদের কাছে পরবর্তী রবিবারে দিচ্ছি। এতে ছাত্র/ছাত্রীরা কোথাও কোনো জায়গায় উত্তর লিখতে ভুল করল কিনা এবং সেই ভুল থেকে সংশোধন করার নিয়ম জানতে পারছে। পরীক্ষা ব্যবস্থা চালু করার পর অভিভাবকগণ সন্তানদের লেখাপড়ার অগ্রগতি দেখে সন্তুষ্ট। আবার পরীক্ষার মাধ্যমে সন্তানদের ভুলভ্রান্তি সংশোধনের সুযোগ থকায় অভিভাবকগণ এসব পদ্ধতি ইতিবাচক ভাবে দেখছেন।
হাতের লেখার প্রতি গুরুত্ব: হাতের লেখা এক প্রকার আর্ট। হাতের লেখার প্রতি ধারাবাহিকভাবে যত্নশীল না হলে এটি সুন্দর থাকবে না। ছাত্র/ছাত্রীর জন্য পড়ার পাশাপাশি হাতের লেখা সুন্দরের গুরুত্ব অনেক বেশি। কেননা হাতের লেখা সুন্দর না হলে কাংখিত ফলাফল অর্জন করা যায় না।
করোনাকালের এই কঠিন সময়ে ছাত্র-ছাত্রীদের অবশ্যই তাদের বাবা-মার কথা শোনতে হবে। বাবা-মায়ের সাথে বন্ধুর মতো মনেরভাব শেয়ার করতে হবে। মনোভাব শেয়ার করলে অনেক অজানা কিছু জানা যায়। নিজের ভুলভ্রান্তি সংশোধন করা যায়।
Last Updated on March 1, 2021 12:32 pm by প্রতি সময়