কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো. আবুল ফজল মীর বলেছেন, কন্ট্যাক্ট ট্রেসিং বা রোগী কাদের সংস্পর্শে এসেছিলো তা চিহ্নিত করা করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখার একটা অন্যতম উপায়। এক্ষেত্রে করোনায় আক্রান্ত রোগীদের সহযোগিতাই কন্টাক্ট ট্রেসিংয়ের কাজটি সহজ করে তুলতে পারে।
সোমবার (১২অক্টোবর) দুপুরে কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা ভাইরাস(কোভিড-১৯)এর দ্বিতীয় পর্ব প্রতিরোধে প্রস্তুতি ও কন্ট্যাক্ট ট্রেসিং প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কুমিল্লার পুলিশ সুপার সৈয়দ মো. নুরুল ইসলাম বিপিএম(বার),পিপিএম করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সতর্কতা অবলম্বন ও গণসচেতনতার ওপর গুরুত্ব দিয়ে বলেন- এ ভাইরাসে আক্রান্ত হলে তথ্য গোপন করবেন না। সরকারি হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সরণাপন্ন হোন। আমরা শুরু থেকে বলে আসছি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন।
কন্ট্যাক্ট ট্রেসিং সম্পর্কে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সকলের উদ্দেশ্যে পুলিশ সুপার বলেন-করোনাভাইরাসের মারাত্মক প্রাদুর্ভাবের শিকার দেশগুলোতে এরই মধ্যে কন্ট্যাক্ট ট্রেসিং পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে। করোনা প্রাদুর্ভাবের দ্বিতীয়পর্ব প্রতিরোধে কন্ট্যাক্ট ট্রেসিং পদ্ধতির ওপর প্রশিক্ষণ গ্রহণের কোন বিকল্প নেই।
অনুষ্ঠানে কুমিল্লা সিভিল সার্জন ডা. মো. নিয়াতুজ্জামান, দাউদকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. কামরুল ইসলাম খান বক্তব্য রাখেন।
প্রশিক্ষণ অনষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো.শাহীনুর আলম।
অনুষ্ঠান শেষে দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিভিন্ন ওয়ার্ড ও বিভাগ পরিদর্শন করেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো. আবুল ফজল মীর, পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম, সিভিল সার্জন ডা. মো. নিয়াতুজ্জামান।এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা ও উপজেলার স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাবৃন্দ।
#দেশ-বিদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে protisomoy ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে এবং ভিডিও খবর দেখতে protisomoy news ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করে অ্যাকটিভ থাকুন।
Last Updated on October 12, 2020 4:54 pm by প্রতি সময়