কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) লোক প্রশাসন বিভাগের সহযোগী সংগঠন পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে হরেক রকম পিঠার আয়োজন ঘিরে অনুষ্ঠিত হলো কুয়াশা উৎসব।
সোমবার (২৯ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ সংলগ্ন কাঁঠালতলায় উপাচার্য অধ্যাপক ড এ এফ এম আবদুল মঈন এ উৎসব উদ্বোধন করেন। এসময় তিনি বাহারি পিঠার বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন ।
উৎসবে ১৩ টি স্টলে বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থীরা হরেক রকম পিঠার পসরা সাজিয়ে বর্ণিল করে তোলে গোটা আয়োজন। পিঠাপুলির মধ্যে রয়েছে চিতই পিঠা, ভাপা পিঠা, দুধ চিতই, রসগোল্লা, জামাই পিঠা, বউ পিঠা, ডিমের পিঠা, নারকেল পিঠা, সেমাই বরফি, সুইচ রোল, পাতাবাহার, কসমা পিঠা, ডোবা, মাছ সুন্দরী পিঠা, নুডুলস, চকোলেট কেক, পাকুন পিঠা, নকশি পিঠা, পাটিসাফটা পিঠা এবং খেজুরের রস। পিঠাপুলির পাশাপাশি সাজসজ্জার সামগ্রী এবং বুক স্টলও ছিল।
কুয়াশা উৎসবে অন্যান্য বিভাগের শিক্ষক- শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি সাবেক শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণও ছিল চোখে পড়ার। দিনব্যাপী উৎসবে ভিন্নধর্মী ও বাহারি পিঠাপুলি ও মুখরোচক খাবারের সমাহার নিয়ে হাজির হওয়া স্টলগুলোতে পিঠা প্রেমীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।
অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম জানান, পিঠা বাঙালির সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। সুস্বাদু ও মুখরোচক পিঠা মানেই গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য। শীত এলেই ঘরে ঘরে শুরু হয় পিঠা উৎসব। আধুনিক নগর সংস্কৃতির প্রভাবে হারিয়ে যেতে বসেছে গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী রকমারি পিঠা। তাই বাঙালির ঐতিহ্যকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে এ ব্যতিক্রম পিঠা উৎসব।
Last Updated on January 29, 2024 10:38 pm by প্রতি সময়