কুমিল্লায় টানা একুশ বছর ধরে উপজেলা যুবলীগের শীর্ষপদে থাকা নাঙ্গলকোট পৌরসভার মেয়র আবদুল মালেককে ঘিরে জটিল এক পরিস্থিতির মুখে পড়েছে দলটি।যুবলীগ ছাড়াও তিনি জেলা আওয়ামীলীগ, পৌর আওয়ামীলীগ ও উপজেলা আওয়ামী লীগের চারটি পদের পরিচিতি বহন করছেন। ইতোমধ্যে আবারও নাঙ্গলকোট উপজেলা যুবলীগের সভাপতি পদের দাবিদার হওয়ায় সেখানে গ্রুপিং ও দ্বন্ধের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, ২০০৪ সালে নাঙ্গলকোট উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সর্বশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেই সম্মেলনে কাউন্সিলরের ভোটে সভাপতি হন পৌর মেয়র মো. আবদুল মালেক। ২০১৬ সালে কেন্দ্রীয় যুবলীগের কোন প্রকার অনুমোদন না নিয়ে বিধি লঙ্ঘণ করে নিজেই ২০১ সদস্যের উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের আহবায়ক কমিটি গঠন করেন । এতে নিজেই আহবায়ক হন। সেই থেকে এখনো আছেন ওই পদে। অথচ দলীয় গঠনতন্ত্রে ৭১ সদস্যের বেশি সদস্য রাখার বিধান নেই।
মেয়র আবদুল মালেক একই সাথে সকল পদে থাকতে চাওয়ায় যত বিপত্তি বাধে দলে।
সম্প্রতি দলের বর্ধিত সভাকে কেন্দ্র গুলিবর্ষন ও ককটেল বিষ্ফোরনের ঘটনা ঘটে নাঙ্গলকোটে। এ ঘটনার পর যুবলীগের কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আহবায়ক কামরুল হাসান শাহিন সকল গ্রুপকে কুমিল্লা জেলা কার্যালয়ে তলব করেছেন।
উপজেলা যুবলীগের বেশ কয়েকজন নেতা জানান, মালেকের কারণে আজ উপজেলা যুবলীগের কার্যক্রম স্থবির হয়ে আছে। কোন কার্যক্রম নেই। নেতাকর্মীদের মাঝেও কোন প্রাণচাঞ্চল্য নেই। গত ২১ বছর ধরে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি এবং আহবায়কের পদ-পদবী আঁকড়ে রেখেছেন মেয়র মালেক। দুই বছর আগে গঠন করা উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক কমিটির ৪ জন যুগ্ম আহবায়কের মধ্যে তিনি একজন। গত তিন মাস আগে উপজেলা আওয়ামী লীগের মূল কমিটির সহ সভাপতির পদেও তাকে রাখা হয়। সম্প্রতি গঠিত কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের মূল কমিটির সদস্য তিনি। নাঙ্গলকোট পৌরসভা আওয়ামী লীগেরও সদস্য। বর্তমানে আবারো উপজেলা যুবলীগের সভাপতি পদপ্রার্থী তিনি।
এ ব্যাপারে আবদুল মালেক বলেন, ‘যুবলীগটা আমি বহুবছর ধরে করি। আমার ছলের বয়সী কেউ প্রার্থী হলে আমি প্রার্থী হবো না। অন্যথায় আমি আবারো সভাপতি প্রার্থী হবো। দলের বিভিন্ন পর্যায়ে বহুপদে থাকা বিধি লঙ্ঘন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কেউ চাইলে থাকতে পারে এটা কোন ব্যাপার না।’
কুমিল্লা জেলা যুবলীগের আহবায়ক কামরুল হাসান শাহিন বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে নাঙ্গলকোট যুবলীগ মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে আছে। আমাদের সকল সংগঠনের হালনাগাদ করার কাজ শুরু হয়েছে। যাতে কোন অপ্রতিকর ঘটনা না ঘটে সে জন্য সকল পক্ষের কয়েকজন নেতাকে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে ডেকেছি।এখানে সিদ্ধান্ত নিয়ে সম্মেলনের জন্য কেন্দ্রে সুপারিশ করবো।’
Last Updated on May 14, 2023 9:54 am by প্রতি সময়