আন্তঃজেলা ডাকাত সর্দার শাহ আলম দুলাল (৪৮) ও তার দলের ১৩ সদস্যকে দেশীয় অস্ত্র, ডাকাতির সরঞ্জামসহ গ্রেফতার করেছে কুমিল্লা জেলা ডিবি ও থানা পুলিশ।

মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ৪টার দিকে দেবিদ্বার উপজেলার ভিংলাবাড়ী এলাকায় কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) ও দেবিদ্বার থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে এ অভিযান পরিচালিত হয়।

বুধবার (১ অক্টোবর) দুপুরে কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের হলরুমে প্রেসব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান।

গ্রেফতাররা হলেন- শাহ আলম দুলাল (৪৮), মনির হোসেন (৪০), মামুন মিয়া (২৪), মাহবুব আলম (৩৮), আলমগীর হোসেন (৩০), আল আমিন (৩২), কামাল হোসেন (৩২), মোশারফ শরীফ (৩২), সুমন (৩৩), খোকন (৪০), আল আমিন (২৫), সোহেল (২৬), এবং নিহার বিশ্বাস (৪৮)। তারা কুমিল্লার দেবিদ্বার, মুরাদনগর, চান্দিনা, বরুড়া, বুড়িচং, সদর দক্ষিণ, ব্রাহ্মণপাড়া এবং চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা।

পুলিশ জানায়, গত ২৮ সেপ্টেম্বর লালমাই থানায় দুটি ডাকাতির ঘটনায় গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, বাঙ্গরাবাজার এলাকায় একটি সংঘবদ্ধ ডাকাতচক্র ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে। টহল জোরদার থাকায় তারা ডাকাতি করতে না পেরে দেবিদ্বারের দিকে রওনা দেয়। সেখানে পুলিশের চেকপোস্টে পৌঁছালে মাইক্রোবাসে থাকা ডাকাতরা পালানোর চেষ্টা করে। পরে ধাওয়া দিয়ে ১৩ জনকে আটক করা হয়।

এসময় মাইক্রোবাসসহ দেশীয় অস্ত্র (কুড়াল, রামদা, চাপাতি, কাটার প্লাস, চেইন), মোবাইল ফোন ডাকাতির সরঞ্জাম এবং ডাকাতি হওয়া চার জোড়া স্বর্ণের দুল, একটি স্বর্ণের আংটি, একটি রুপার নুপুর, একটি লাল রঙের স্বর্ণ রাখার বক্স, নগদ ২০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।

প্রেসব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার জানান, গ্রেফতারকৃতরা আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। তারা সম্প্রতি কুমিল্লার লালমাই এলাকায় তিনটি, বরুড়ায় একটি এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে একটি ডাকাতির ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও চাঁদপুরে একাধিক মামলা রয়েছে। এর মধ্যে ডাকাত সর্দার দুলালের নামে রয়েছে ২৬টি এবং মনির হোসেনের নামে রয়েছে ২১টি মামলা।
তিনি বলেন, জেলার আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। জনগণের সহযোগিতায় খুব শিগগিরই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও উন্নত হবে।

প্রেসব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) রাশেদুল হক চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) পঙ্কজ বড়ুয়া ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ইনচার্জ মো. আবদুল্লাহসহ পুলিশ কর্মকর্তারা।