কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে পূর্বশত্রুতার জেরে যুবলীগ নেতা জামাল উদ্দিনকে হত্যার দায়ে ৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৪র্থ আদালতের বিচারক জাহাঙ্গীর হোসেন এই রায় ঘোষণা করেন।
মামলার রাষ্ট্রপক্ষের কৌশলী (পিপি) জহিরুল হক সেলিম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
রায় ঘোষণাকালে দণ্ডপ্রাপ্ত ১৮ জনের মধ্যে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৯ জনের মধ্যে একজন আদালত কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে ৮জন ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৯ জন পলাতক রয়েছেন।রায়ে পাঁচজনকে এ মামলা থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়।
মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্তরা হলেন- কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম আলকরা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ ইসমাইল হোসেন বাচ্চু, আলকরা ইউনিয়নের কুলাসার গ্রামের সালাউদ্দিন, আব্দুর রহমান, মফিজুর রহমান খন্দকার, জিয়াউদ্দিন শিমুল, জাহিদ বিন শুভ, রেজাউল করিম বাবলু, মোঃ রিয়াজ উদ্দিন মিয়াজী, মমতা আমির হোসেন।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- আলকরা ইউনিয়নের কুলাসার গ্রামের নুরুল আলম, কফিল উদ্দিন, নুরুন্নবী সুজন, ইকবাল আহমেদ, সাইফুল ইসলাম, মাহফুজুর রহমান খন্দকার, মোশারেফ হোসেন, মোঃ আলাউদ্দিন ও মোহাম্মদ আলী হোসেন।
মামলা থেকে অব্যাহতি প্রাপ্তরা হলেন, আলকরার কুলাসার গ্রামের নজরুল ইসলাম শিমুল আজিম উদ্দিন আনোয়ার হোসেন সোহেল আতিকুর রহমান নান্টু, ও ইউসুফ হারুন মামুন।
মামলার বিবরনে জানা যায়, চৌদ্দগ্রাম আলকরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ ইসমাইল হোসেন বাচ্চুর চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপকর্মের প্রতিবাদ করায় ওই ইউনিয়নের যুবলীগ সভাপতি জামাল উদ্দিনের সাথে বিরোধ সৃষ্টি হয়। পরে জামাল উদ্দিনের উপর হামলা করে তাকে আহত করে। এ বিষয়ে জামাল উদ্দিন নিজে বাদী হয়ে আদালতে মামলা করেন। মামলার করার পর চেয়ারম্যান মোঃ ইসমাইল হোসেন বাচ্চু ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরে ২০১৬ সালের ৮ জানুয়ারি রাত আটটায় বাড়ি থেকে যুবলীগ নেতা জামাল ঢাকায় যাওয়ার পথে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রামের পদুয়ায় সড়কের উপরে চেয়ারম্যান মোঃ ইসমাইল হোসেন বাচ্চুর নেতৃত্বে তার লোকজন গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করে।
Last Updated on May 12, 2024 5:13 pm by প্রতি সময়