
কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে একটি হাসপাতাল বন্ধ ঘোষণা ও তিনটি সিলগালা করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ।
একই অভিযানে বন্ধ ঘোষণা করা হাসপাতালের মালিক ও কথিত চিকিৎসককে লাখ টাকা জরিমানা ও তিন মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি)চান্দিনা উপজেলার কৈলাইন পুরাতন বাজার সংলগ্ন লক্ষীপুর মেডিকেল সেন্টার নামের প্রাইভেট হাসপাতালে অভিযান পরিচালনা করে বিভিন্ন অনিয়োগ পরিলক্ষিত হওয়ায় চান্দিনা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্টেট জাবের মো. সোয়াইব ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে পরবর্তী নির্দেশনা দেওয়া না পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ ঘোষণা করেন।
একই সময়ে ওই প্রতিষ্ঠানের মালিক মিথ্যা পরিচয় দিয়ে ডা. পদবি ব্যবহার ও রোগীদের ব্যবস্থাপত্র দেয়ায় খলিলুর রহমান পলাশ কে মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন ২০১০ অনুযায়ী এক লাখ টাকা অর্থদন্ড করেন।
এছাড়াও হাসপাতালের ফার্মেসিতে মেয়াদ উত্তীর্ণ ও সরকারি ঔষধ বিক্রি, সেবা গ্রহীতার জীবন বা নিরাপত্তা বিপন্নকারী কাজ, টেকনিশিয়ান ছাড়া যন্ত্রাংশ চালানো, ফ্রিজে মেডিকেল রিএজেন্টের সাথে খাবার রাখা, বাসায় চেম্বার ও রোগীদের বেড চালু, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা না থাকায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ অনুযায়ী খলিলুর রহমান পলাশ কে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়।
এদিকে একইদিন অপর অভিযানে উপজেলার মাধাইয়া জেনারেল হাসপাতাল, লক্ষীপুর নতুন বাজারের জি এম মেডিকেল সেন্টার, বদরপুর পশ্চিম বাজারের জয় মেডিকেল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার বিভিন্ন অব্যবস্থাপনার কারণে সিলগালা করে দেওয়া হয়।
ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো: আরিফুর রহমান, জুনিয়র কনসালটেন্ট মোস্তফা মনোয়ার কৌশিকসহ চান্দিনা থানা পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।