কুমিল্লার তিতাসে লোহার রেঞ্জ ও পাইপ দিয়ে স্ত্রীকে পিটিয়ে খুন করার পর পাশেই বসেছিলেন ঘাতক স্বামী। আর্থিক সংকট এবং একইসঙ্গে পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রীকে খুন করেছে বলে পুলিশের কাছে স্বীকৃতি দিয়েছেন ঘাতক স্বামী সাইফুল ইসলাম মিন্টু।
বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) ভোর ৬ টায় কুমিল্লার তিতাস উপজেলার মজিদপুর ইউনিয়নের লালপুর গ্রামের সরকার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটেছে।
এদিন সকালে জরুরী পরিষেবা ৯৯৯ এর ফোন পেয়ে তিতাস থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে স্ত্রীর লাশের পাশে বসে থাকা ঘাতক স্বামী মিন্টুকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে। আর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বছর তিনেক আগে তিতাস উপজেলার লালপুর গ্রামের মৃত আব্দুল হাকিমের ছেলে সাইফুল ইসলাম মিন্টুর সাথে বন্দরামপুর গ্রামের আব্দুল হালিম মোল্লার মেয়ে আঁখি আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় মিন্টু ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকরি করতেন। দুই বছর আগে চাকরি চলে গেলে সে বেকার হয়ে পড়ে। তবে তার স্ত্রী আঁখি আক্তার স্থানীয় একটি কিন্ডার গার্টেনে আয়ার কাজ করে আসছিলো। তাদের সংসারে আবরাহাম নামে দুই বছরের শিশু পুত্র রয়েছে। সংসারের আর্থিক অনটন, নিজের বেকারত্ব এসব নিয়ে মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন মিন্টু। এসব কারণে প্রায়ই তাদের সংসারে কলহ লেগে থাকত।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে বিছানায় শিশু পুত্রের প্রস্রাব করাকে কেন্দ্র করে স্বামী- স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া বাঁধে।এক পর্যায়ে আখি ছেলেকে খাটের ওপর আছার দিয়ে ফেলে দিলে সে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। তখন স্বামী সাইফুল ইসলাম মিন্টু উত্তেজিত হয়ে ঘরে থাকা লোহার পাইপ-রেঞ্জ দিয়ে স্ত্রীর মাথায় ও মুখমন্ডলে গুরুতর আঘাত করলে ঘটনাস্থলে তর স্ত্রী আখি আক্তার মারা যান।
তিতাস থানার ওসি কাঞ্চন কান্তি দাস বলেন, স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে স্বামীকে ঘটনাস্থল থেকেই আটক করা হয়েছে।আর্থিক ও মানসিক সমস্যার কারণে প্রায় তাদের মধ্যে ঝগড়া-কলহ হতো। পারিবারিক কলহের জের ধরেই এ হত্যার ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। আটক স্বামী তার স্ত্রীকে লোহার পাইপ-রেঞ্জ দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।
Last Updated on October 5, 2023 8:05 pm by প্রতি সময়