শনিবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৫:৪০ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কুমিল্লার সাত ইউএনও-ওসির রদবদল জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই তথ্যের আবশ্যকতা রয়েছে : বাউবি কুমিল্লা অঞ্চলের পরিচালক হিমেল-তৌসিফের নেতৃত্বে কুবি আইটি সোসাইটি কুমিল্লা এলজিইডিতে জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধে সভা অনুষ্ঠিত আজ ঐতিহাসিক ৮ ডিসেম্বর, কুমিল্লা মুক্ত দিবস পেশাগত স্বচ্ছতাই পারে সমাজে সত্য ও সুন্দর প্রতিষ্ঠায় ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে : কুমিল্লা প্রেসক্লাব সভাপতি কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে মহান বিজয়ের মাস জুড়ে কর্মসূচির উদ্বোধন কুমিল্লা নগরীর উনাইসারে বাসে আগুন দেবিদ্বার আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল কালাম আজাদকে হুমকি : স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতাকে নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির নোটিশ ব্রাহ্মণপাড়ায় বাল্য বিয়ে থেকে রক্ষা পেল সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী কুবিতে ভলিবল টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন ফিন্যান্স ও বাংলা বিভাগ দলবদল ডিগবাজি নয়, সাংবিধানিক অধিকার : ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর মুরাদনগরে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বিরুদ্ধে সেবা প্রত্যাশি ও গ্রাহকদের নানা অভিযোগ কুমিল্লার ১১টি আসনে নির্বাচনি নির্বাচনপূর্ব অনিয়ম প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে অনুসন্ধান কমিটি জীবনধারার পরিবর্তনই নিজের ও পরিবারের সবার হার্টকে সুস্থ রাখবে : ডা. তৃপ্তীশ কুমিল্লার ১১টি আসনে ৫৬ জনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা কুমিল্লার ৫টি সংসদীয় আসনে ২৯ জনের মনোনয়ন বৈধ, বাতিল ও স্থগিতের তালিকায় হেভিওয়েট ৯ স্বতন্ত্র প্রার্থী দাউদকান্দি-তিতাস এলাকায় মেরিন ফিশারী একাডেমি প্রতিষ্ঠা করা হবে : ইঞ্জিনিয়ার সবুর ভূমিকম্পে কুবির আবাসিক হলের দেয়ালে ফাটল মনোনয়ন বাতিলের ষড়যন্ত্র চলছে, সংবাদ সম্মেলনে কুমিল্লা-৭ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী টিটুর অভিযোগ

কুমিল্লার বরুড়ায় পোলট্রি খামারের মুরগী মারার বিচার চাওয়ায় চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে প্রতিপক্ষ

প্রতিসময় রিপোর্ট
  • আপডেট টাইম শনিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
  • ২৮১ দেখা হয়েছে

নিজ বাড়িতে গড়ে তোলা পোলট্রি খামারের প্রায় ১২০০ মুরগী পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বিষ প্রয়োগে মেরে ফেলার বিচার চাওয়ায় অনেকটা গৃহবন্দি হয়ে পড়েছেন খামারের ক্ষতিগ্রস্ত মালিক আবদুল মতিন।

ঘটনাটি কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার শাকপুর ইউনিয়নের শাকপুর গ্রামে ঘটেছে। সামাজিক সালিশ ও থানায় অভিযোগের পর ঘটনার ২৭দিন অতিবাহিত হলেও ক্ষতিগ্রস্ত আবদুল মতিন ন্যায়বিচার পাচ্ছেন না। বরং প্রতিপক্ষ একই গ্রামের নিকাটাত্মীয় মো. নোমান বাড়ির চলাচলের রাস্তা টিনের সীমানা প্রাচীরে বন্ধ করে দিয়ে আবদুল মতিন ও তার পরিবারকে প্রায় ১০দিন ধরে অনেকটা গৃহবন্দি অবস্থায় রেখেছে।

ঘটনার বিষয়ে জানা যায়, জমিজমা সংক্রান্ত পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ওই গ্রামের একই বাড়ির মো. নোমান গত ১ ফেব্রুয়ারি রাতে বিষ প্রয়োগে পোলট্রি খামারের প্রায় ১২০০ মুরগী মেরে ফেলে বলে অভিয়োগ করেন আবদুল মতিন। এঘটনার বিচার চেয়ে তিনি প্রথমে স্থানীয় মেম্বার আবদুস সাত্তার ও গণমান্য লোকদের বিষয়টি অবহিত করেন। স্থানীয় মেম্বার ও অন্যান্যরা প্রায় দুই সপ্তাহ চেষ্টা করেও বিষয়টির সমাধানে পৌঁছতে ব্যর্থ হওয়ায় আবদুল মতিনকে থানায় অভিযোগের পরামর্শ দেন।

পরে ১৫ ফেব্রুয়ারি ঘটনার বিষয় উল্লেখ করে মো. নোমানের বিরুদ্ধে আবদুল মতিন বরুড়া থানায় অভিযোগ করেন। অভিযোগের তদন্ত করেন সাব ইন্সপেক্টর (এসআই) চন্দন। তিনি অভিযোগের তদন্ত করে বিষয়টি মিমাংসা করে দেওয়ার জন্য স্থানীয় ইউপি মেম্বার আবদুস সাত্তারের ওপর দায়িত্ব দেন। কিন্তু পুলিশের পক্ষ থেকে দায়িত্ব পাওয়ার পরও মেম্বার আবদুস সাত্তার প্রতিপক্ষ মো. নোমানের অসহযোগিতার কারণে বিষয়টির শান্তিপূর্ণভাবে মিমাংসা করে দিতে পারেননি। পরে বিষয়টি মেম্বার আবদুস সাত্তার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই চন্দনকে জানান।

এরিমধ্যে প্রতিপক্ষ নোমান থানায় অভিযোগ করার অজুহাত তুলে আবদুল মতিনের বাড়ির মাঝখানে টিনের সীমানা দিয়ে চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেয়। এ অবস্থায় আদুল মতিনের পরিবার প্রায় ১০/১২দিন ধরে অনেকটা গৃহবন্দি অবস্থায় রয়েছেন।

এবিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় ইউপি মেম্বার আবদুস সাত্তার বলেন, ‘বিষয়টি আমরা প্রথম থেকেই সামাজিকভাবে সমাধান করার চেষ্টা করেছি।কিন্তু আয়ফল নেছা ও তার ছেলে নোমান সহনীয় হলেই কিন্তু দুই পক্ষের এই বিরোধ মিমাংসা হয়ে যেত। তবে আমরা সালিশে বসে আয়ফল নেছাকে বসত বাড়ির জায়গা সম্পত্তির বিষয়ে বলেছি, ওই বাড়ির একজন বিদেশে থাকে, সে দেশে আসলে পরিমাপ করে জায়গাজমি ভাগ করে নেবেন। কিন্তু সালিশের পরদিনই তিনি বাড়ির মাঝখানে টিনের বেড়া দিয়েছেন। এতে আবদুল মতিনের পরিবারের চলাচলে সমস্যা দেখা দিয়েছে। আমরা সমাজের লোকজন মিমাংসা করতে না পারার বিষয়টি থানায় অবহিত করেছি।’

অভিযোগকারি ও ক্ষতিগ্রস্ত আবদুল মতিন জানান, ‘প্রতিপক্ষ নোমানের সঙ্গে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলছে। আর এরই জের ধরে সে আমার মুরগী খামারের প্রায় ১২০০ মুরগী বিষপ্রয়োগ করে মেরে ফেলেছে। এতে আমার প্রায় পৌনে তিন লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে। আমি ন্যায় বিচারের জন্য প্রথমে থানায় না গিয়ে গ্রামের মেম্বার মাতব্বর, গণ্যমান্য লোকদের সরণাপন্ন হয়েছি। তাদের বিচার নোমান মানেনি। পরে আমি থানায় অভিযোগ করেছি। থানা থেকেও বিষয়টি সামাজিকভাবে মিমাংসা করার জন্য মেম্বারকে দায়িত্ব দেয়। এরপরও নোমান সমাজের কোন সিদ্ধান্ত বিচার মানতে নারাজ। সে হিংস্র প্রকৃতির। আমি কেন থানায় গেছি, পুলিশকে কেন জানালাম তাই বাড়ির চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে। আজকে প্রায় ১২দিন পরিবার নিয়ে একরকম বন্দি জীবন কাটাচ্ছি। নোমানের মা আয়ফলের নেছা থেকে আমি এবং আমার ভাই রফিকুল ইসলাম দুই শতক জায়গা সাবকবলা দলিলমূলে ক্রয় করেছি। অথচ আমাদের ক্রয়কৃত জায়গা আমাদেরকে বুঝিয়ে না দিয়ে নোমান বাড়ির চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে। সে আমাকে, আমার পরিবারের লোকদেরকে মেরে ফেলার ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। আমরা তার হিংস্রতায় নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে আছি। আমি প্রশাসনের কাছে এসব ঘটনার ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করছি।’

# দেশ-বিদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে প্রতিসময় ডট কম ( protisomoy.com) এ চোখ রাখুন এবং প্রতিসময় protisomoy ফেসবুক পেইজে লাইক দিন। এছাড়াও protisomoy ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেলবাটন ক্লিক করে নতুন নতুন সংবাদ ও বিনোদন ভিডিও পেতে আমাদের সাথে থাকুন। ধন্যবাদ

Last Updated on February 27, 2021 5:22 pm by প্রতি সময়

শেয়ার করুন
এই ধরনের আরও খবর...

বিস্তারিত জানতে ছবিতে ক্লিক করুন।

themesba-lates1749691102