# দিশেহারা নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর সাধারণ মানুষ" />
কুমিল্লার বাজারগুলোতে লাগামহীনভাবে বেড়েই চলছে নিত্যপণ্যের দাম। ফলে দিশেহারা নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর সাধারণ মানুষ। বাজারে কোনোভাবেই পণ্যের দামে লাগাম টানা যাচ্ছে না। হু হু করে বেড়েই চলছে। প্রতি সপ্তাহেই পণ্যের দাম বাড়ছে। আটা, ময়দা, চিনি, ডাল, ডিম, সয়াবিন তেল, আদা, রসুন ও ফার্মের মুরগির দাম বেড়েছে।
সরকারের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা। নিত্যপণ্যের দাম মানুষের নাগালে আনতে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া অতীব জরুরি হয়ে পরেছে। বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন মূল্য স্বাভাবিক করতে সরকারের পক্ষ থেকে নানা উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা কাজে আসছে না। বরং অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে প্রায় সব পণ্যের দাম দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ হয়েছে। বাজারের এই লাগামহীন পরিস্থিতিতে হাঁপিয়ে উঠছেন সাধারণ ক্রেতারা।
রবিবার (২৮ জানুয়ারি) কুমিল্লা নগরীর কয়েকটি বাজার ঘুরে নিত্য পণ্যের দামের যে তথ্য পাওয়া গেছে তাতে দেখে যায়, প্রতি কেজি স্বর্ণা চাল ৫৩ থেকে ৫৫ টাকা, নাজিরশাইল ৭৮ থেকে ৮৪ টাকা, চিনিগুঁড়া চাল ১৪০ থেকে ১৫৫ টাকা ও মিনিকেট ৭০ থেকে ৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে, বাজারে পেঁপে, মুলা ছাড়া অন্যান্য সবজি ৮০ টাকার ওপরেই বিক্রি হচ্ছে। রসুনের দাম ২০ থেকে ৪০ টাকা এবং আদা ১০ থেকে ৩০ টাকা বেড়ে আদা ও রসুন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৬০ থেকে ২৮০ টাকা পর্যন্ত। ৮০ টাকা দরে বিক্রি হওয়া পেঁয়াজ এখন ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া গতবছর প্রতি কেজি ছোলা মানভেদে বিক্রি হয়েছে ৭৫ থেকে ৮০ টাকা, যা এক মাস আগেও একই দাম দেখা গেছে। ওই ছোলা এখন ১০০ থেকে ১২০ টাকায় উঠেছে। একইভাবে প্রতি কেজি মসুর ডালের দাম ১০ টাকা বেড়ে ছোট দানার মসুর ডাল ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ভালো মানের মুগ ডালের কেজি হয়েছে ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগেও ১৫০ টাকার মধ্যে ছিল।
অন্যদিকে নতুন করে বেড়েছে ফার্মের মুরগির ডিমের দাম। প্রতি ডজন ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা দরে। বোতলজাত ভোজ্যতেলের দাম গত সপ্তাহে প্রতি লিটারে ৪ টাকা বাড়ানো হয়েছে।
এরপর থেকে খোলা সয়াবিন ও পাম তেলের দাম বাড়ছে। প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকা এবং পাম তেল ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা। আগের সপ্তাহের তুলনায় যা ৫ টাকা বেশি।
এ ছাড়া প্রতি কেজি খোলা চিনি এলাকা ভেদে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। বাজারে এখন গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকায়। এছাড়া ব্রয়লার মুরগির কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা।
বাজারের বিক্রেতাদের সাথে কথা বললে তারা জানায়, কিনতে হয় বেশি দামে, তাই কম দামে বিক্রি অসম্ভব।
এদিকে বাজারে নিত্যপণ্যের হঠাৎ এমন দাম বৃদ্ধিতে চরম অসন্তোষ প্রকাশ করছেন ক্রেতারা।
Last Updated on January 28, 2024 7:34 pm by প্রতি সময়