বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় কলেজ প্রাঙ্গনে কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়।
খবর পেয়ে রাতে বুড়িচং ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে এক ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
বুড়িচং থানার ওসি মোঃ ইসমাইল হোসেন জানান, স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে বুঝা গেছে এটি একটি নাশকতা মূলক কান্ড। যারা এঘটনা ঘটিয়েছে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।
খবর পেয়ে কুমিল্লা -৫ আসনের এমপি অ্যাডভোকেট আবুল হাসেম খান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং দুঃখ প্রকাশ করেন। যারা কলেজে নাশকতা ঘটিয়ে আগুন দিয়েছে তাদেরকে যেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্রুত খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনে। ক্ষতিগ্রস্থ কলেজটিকে সরকারি ভাবে যতটুকু সাহায্য সহযোগিতা করা সম্ভব তিনি তা করবেন বলে আশ্বাস দেন।
কলেজের প্রতিষ্ঠাতা আলহাজ্ব মোঃ জাকির হোসেন জাহের চেয়ারম্যানের ভাই কবির হোসেন বলেন রাতে কলেজ প্রাঙ্গণে ককটেলের বিস্ফোরণের আওয়াজ শুনে বাড়ি থেকে বের হয়ে কলেজের সামনে আসতে কালো পোশাকের মুখোশধারী ১০/১৫ জন লোক আমাকে গুলি করার হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায়।
কলেজের অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান ভূইয়া বলেন, কলেজটি শত্রুতামূলকভাবে নাশকতা করে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছে। কলেজের তিন শতাধিক শিক্ষার্থী নিয়ে আমি এখন চরম বিপাকে পড়েছি। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।
এদিকে শুক্রবার বিকালে বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া আক্তার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি সরকারি সাহায্য সহযোগিতা করে কলেজটিকে ঘুরে দাঁড়াতে সহযোগিতা করবেন বলে জানান। যারা নাশকতা করে কলেজ পুড়িয়ে দিয়েছে তাদেরকে ছাড় দেয়া হবেনা।
Last Updated on March 10, 2023 10:07 pm by প্রতি সময়