দেশে করোনায় একদিকে বাড়ছে মৃত্যুর হার। অপরদিকে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হওয়ার পর স্বাস্থ্যবিধি মানতে সরকারিভাবে কঠোর নির্দেশনা থাকলেও কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় ত্রান বিতরণ বা সামাজিক, সাংগঠনিক কর্মসূচিগুলোতে তা মানছে না । সামাজিক সংগঠন ও ব্যক্তি উদ্যোগে এ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে কিছুদিন পরপরই ত্রান বিতরণ হচ্ছে।
শুক্রবার (২৫ জুন) ব্যক্তি উদ্যোগে এমন একটি ত্রান বিতরণ কার্যক্রমে দেখা গেছে, স্বাস্থ্যবিধি মানার কোন বালাই নেই। এক্ষেত্রে আয়োজকরাই ছিলেন পুরোপুরি উদাসিন।
শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার বাঙ্গরা পশ্চিম ইউনিয়নের ধনপতিখোলা, কুড়াখাল, কালিপুড়া, নোয়াগাও এবং কোদালকাটা গ্রামের ৯৭০টি হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে নগদ ১হাজার টাকা করে বিতরণ করা হয়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বাঙ্গরা পশ্চিম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রুহুল আমিনের উপস্থিতিতে এ টাকা বিতরণ করেন কামাল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজ খানের ব্যবসায়ী পুত্র রোটারিয়ান আবুল আয়েছ খান-সিআইপি।
এসময় অর্থ বিতরণকারী ও অর্থ নিতে আসা অধিকাংশ মানুষের মুখে ছিল না মাস্ক।মানেনি কেউ সামাজিক দুরত্ব। টাকা নেওয়ার জন্য অনেকেই গাদাগাদি করে একসঙ্গেই ছিলেন। আবার অর্থ বিতরণের সময় ফটোশেসনের জন্য কারো কারো মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন আবুল আয়েছ খান। দেশে করোনা পরিস্থিতির এই ভয়াবহ সময়ে আয়োজকদের এমন কর্মকান্ডে এলাকার সচেতন লোকজন অবাক হয়েছেন।
এ বিষয়ে আবুল আয়েছ খান বলেন, গ্রামে স্বাস্থ্যবিধি কেউ মানে না। স্বাস্থ্যবিধি না মানলে তো কাউকে জোর করে মানানো যাবে না। আপনারা এ ব্যাপারে যা লিখার লিখেন।
বাঙ্গরা পশ্চিম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রুহুল আমিন বলেন, হাটবাজারে সব জায়গায় মানুষ মাস্ক ছাড়া চলাফেরা করছে। গ্রামের সহজ সরল মানুষ, তাই তারা মাস্ক পরতে চায় না। পরবর্তীতে ত্রান বিতরণের কোন পোগ্রাম করলে সবাইকে মাস্ক পরে আসতে বলব।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অভিষেক দাশ বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে সামাজিক দূরত্বের পাশাপাশি শতভাগ মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। করোনার শুরু থেকে চেয়ারম্যানদের এ ব্যাপারে নির্দেশনা দিয়ে আসছি। প্রয়োজনে এ সকল বিষয়ে তাদেরকে আবার সতর্ক করা হবে।
# দেশ-বিদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে প্রতিসময় (protisomoy) ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।
Last Updated on June 25, 2021 8:03 pm by প্রতি সময়