কুমিল্লার মেঘনা উপজেলা মেঘনা নদীর তীরে অবস্থিত নদীবেষ্টিত একটি উপজেলা। মেঘনা নদীর নামেই এ উপজেলার নামকরণ করা হয়। এ উপজেলার চারপাশে ঘিরে রয়েছে মেঘনা নদীর শাখা-প্রশাখা ও তার চরাঞ্চল। এ চরাঞ্চলের একটি হচ্ছে মায়াদ্বীপ খ্যাত নুনেরটেক। এ চরে গড়ে উঠেছে স্কুল, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, হাট-বাজার ও স্যাটেলাইট ক্লিনিক।প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর পর্যটকদের জন্য আর্কষনীয় হয়ে উঠেছে মেঘনার নুনেরটেকের মায়াদ্বীপ। পর্যটন শিল্পে সম্ভাবনার হাতছানি দিচ্ছে মেঘনার এ মায়াদ্বীপ।
মায়াদ্বীপটি কুমিল্লার মেঘনা ও নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার সীমান্তে পড়েছে।মুজিব বর্ষ উপলক্ষে গত ২০২০ইং সালের ডিসেম্বর মাসে নদীর তলদেশ দিয়ে নুনেরটেক চরাঞ্চলে পৌঁছে গেছে বিদ্যুৎ। বিদ্যুতের আলোর ঝিলিক আঁধার রাতে মনে হয় নদীর পানিতে হাজারও তারার মেলা। প্রতিদিনই বিকাল থেকে সন্ধ্যা রাত পর্যন্ত হাজারও মানুষ যাতায়াত করে এ চরে।
যাতায়াতের ব্যবস্থা কষ্টের হলেও ইতোমধ্যে ভ্রমণ পিপাসুরা এ চরে যাতায়াত শুরু করেছেন। এ নুনেরটেক চর ছাড়াও নদীর মাঝখানে জেগে উঠেছে আরো একাধিক চর। এর মায়াময় পরিবেশ পর্যটকদের মন কাড়ছে। পর্যটকদের পদধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠেছে এলাকাটি।
মেঘনা উপজেলার বড়কান্দা বাজার থেকে ১৫ মিনিটে এছাড়াও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মেঘনা ব্রীজ সংলগ্ন ঘাট থেকে ১০ মিনিটে যে কোন ইঞ্জিনচালিত নৌকায় মায়াদ্বীপে যাওয়া যায়।অপরদিকে সোনারগাঁ লোকশিল্প জাদুঘর থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত মেঘনার এ মায়াদ্বীপটি। সোনারগাঁ থেকে বৈদ্যেরবাজার লঞ্চ ঘাট থেকে ট্রলার বা ইঞ্জিন চালিত নৌকায় স্বল্প খরচেই যাওয়া যায় এ দ্বীপে।যারা পরিবার পরিজন নিয়ে সোনারগাঁ লোকশিল্প জাদুঘরে বেড়াতে যান,তারা এ মায়াদ্বীপে অল্প সময়ের জন্য হলেও ঘুরতে আসেন।
এ দ্বীপে ঘুরতে আসা পর্যটকদের মাঝে মেঘনা নদীতে জেলেদের জালে রুপালি ইলিশ ও দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ধরা দৃশ্য, নদীর ঢেউ, পাল তোলা নৌকার সমাহার আনন্দের ঢেউ তুলে। ফলে পর্যটকদের কাছে আকর্ষনীয় হয়ে উঠছে মেঘনার নুনেরটেকের মায়াদ্বীপ।
জেলার অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, মায়াদ্বীপে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, বাণিজ্যিক সুবিধা, ভ্রমন পিপাসুদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা গেলে এদ্বীপটি অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে।
মেঘনা উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল্লাহ মিয়া রতন সিকদার বলেন, মায়াদ্বীপের এ দর্শনীয় স্থানটিকে সরকারি পর্যটন এলাকা ঘোষণা করে এটিকে পর্যটন উপযোগী এলাকা হিসেবে গড়ে তুলতে পারলে দেশি-বিদেশি পর্যটকের ব্যাপক সমাগম ঘটবে। এছাড়া স্থানীয়ভাবেও অনেক লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে এবং অর্থনৈতিকভাবে একটি বড় খাত সৃষ্টি হবে।
# দেশ-বিদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে প্রতিসময় (protisomoy) ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।
Last Updated on August 10, 2021 9:17 pm by প্রতি সময়