কুমিল্লার মেঘনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ছমির উদ্দিন ও একই থানার সাবইন্সপেক্টর (এসআই) মো. মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন এক ভুক্তভোগী নারী।
রবিবার (৪ সেপ্টেম্বর) কুমিল্লার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ আদালতে মামলাটি দায়ের করেন মেঘনা উপজেলার শিকিরগাও এলাকার প্রবাসী মাহমুদুল হাসানের স্ত্রী রুমানা রহমান জয়া (২৬)। আদালতের বিচারক মোয়াজ্জেম হোসেন অভিযোগটি আমলে নিয়ে সহকারী পুলিশ সুপার পদ মর্যাদার একজন কর্মকর্তাকে ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেন।
মামলায় ওই নারী অভিযোগ করেন, তাদের পারিবারিক ও আত্মীয়-স্বজনের জায়গা জমির বিরোধের বিষয়ে মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে বেশ কয়েকবার থানায় আসা যাওয়া করেন। সেই সুবাদে ওসি ছমির ও এস আই মোশাররফ তাকে প্রায়ই ফোন করতো। এক পর্যায়ে ওসি ছমির তাকে মেঘনা রিসোর্টে সময় কাটাতে যাওয়ার প্রস্তাব দেয় এবং এস আই প্রায়ই ফোন করে তাকে অশোভন প্রস্তাব দিত। তারা রুমানার মোবাইল নম্বরে এবং হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে ফোন দিত। তাদের প্রস্তাব প্রত্যাখান করায় দুজনেই রুমানার ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন।গত ২৬ আগস্ট এক ঘটনাক্রমে রুমানার বোনের জামাইকে গ্রেফতার করতে যায় ওসি ছমির ও এস আই মোশাররফ। সেদিন রুমানা মামলার ওয়ারেন্ট চাওয়াতে এসআই মোশাররফ রুমানাকে টেনে হিচড়ে থানায় নিয়ে আসে। পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে রুমানাকে ওসির রুমে নিয়ে যায়। এসময় ওসি তার সাথে অশোভন আচরণ করেন এবং রুমানার মুখ চেপে ধরে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন।
পরে রুমানার বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগের মামলায় তাকে আদালতে প্রেরণ করে।
আটদিন জেলে থাকার পর রুমানা জামিনে এসে মামলার প্রস্তুতি নেন এবং মেঘনা থানার ওসি ও এসআই’র বিরুদ্ধে আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।
Last Updated on September 4, 2022 9:57 pm by প্রতি সময়