ডাকাতির ঘটনায় কুমিল্লায় ৫জনকে আটক করেছে পুলিশ। যার মধ্যে একজন ডাকাতির কাজে অর্থ বিনিয়োগ করতেন।
বুধবার (১৪ জুলাই) বেলা ২ টায় প্রেসব্রিফিংয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এম.তানভীর আহমেদ।
একইদিন বেলা ৩ টায় গ্রেফতার ডাকাতদেরকে আদালতে প্রেরণ করা হয়। পরে কুমিল্লা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারক রোকেয়া আক্তার ডাকাতদের কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
গত ৭ জুলাই রাতে কুমিল্লা দেবিদ্বার উপজেলার কাবিলপুর গ্রামের বাসিন্দা কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক রেজাউল করিমের বাসায় ডাকাতি হয়। এ সময় ডাকাতদল নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও একাধিক মোবাইল ফোনসেট লুটে নেয়।
এ ঘটনায় পরদিন ডাঃ রেজাউল বাদী হয়ে দেবিদ্বার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে দেবিদ্বার, চান্দিনা থানা ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এলআইসি টিম অভিযান শুরু করে।ঘটনার ১২ দিন পর গত মঙ্গলবার গভীর রাতে ওই সংঘবদ্ধ ডাকাতদলের ৪ সদস্যকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতার ডাকাতরা হলো কুমিলা দেবিদ্বার উপজেলার নুরমানিকচর গ্রামের মোঃ ফয়েজ, একই উপজেলার এলাহাবাদ গ্রামের মোঃ রফিক, ইন্দ্রাবতী গ্রামের মোঃ সোহেল, ছোটনা গ্রামের মোঃ আনোয়ার হোসেন।
পরে গ্রেফতার ডাকাতদের তথ্য অনুসারে ডাকাতির পেছনে বিনিয়োগকারী রিপন চন্দ্র সাহাকে গ্রেফতার করা হয়। ডাকাতির কাজে অর্থ বিনিয়োগকারী রিপনের বাসায় তল্লাশী করে লুন্ঠিত প্রায় ১৫ ভরি স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতার রিপন চন্দ্র জানায়, তিনি ডাকাতির পেছনে অর্থ ব্যয় করেন। ডাকাতরা যখন ডাকাতি শেষ করে তখন তিনি লুন্ঠিত মালামাল ক্রয় করে থাকেন।
রিপন আরো জানান, রেজাউলের বাড়ীতে ডাকাতির ঘটনায় মালামালাগুলো তিনি ৫ লাখ টাকায় কিনে নেন।
# দেশ-বিদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে প্রতিসময় (protisomoy) ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।
Last Updated on July 14, 2021 8:28 pm by প্রতি সময়