লকডাউনের প্রথমদিন সোমবার (৫এপ্রিল) কুমিল্লায় ঢিলেঢালাভাবে কেটেছে। সকাল থেকে কুমিল্লা নগরীর ৩টি বাস টার্মিনাল থেকে অভ্যন্তরীন ও দূরপাল্লা রুটের কোন বাস ছেড়ে যায়নি। তবে নগরীর অভ্যন্তরে সিএনজি অটোরিকশা, ইজিবাইক এবং প্যাডেল ও ব্যাটারিচালিত রিকশাসহ অন্যান্য যানবাহন চলাচল ছিল প্রায় স্বাভাবিক। তবে এস পরিবহনে গাদাগাদি করে যাত্রী উঠানামা করতে দেখা গেছে।
নগরীর মার্কেট দোকানপাট ছিল বন্ধ। তবে রাস্তার পাশে ফুটপাতে এবং বাজারের দোকানগুলোতে বেচাকেনায় প্রচুর ভীড় দেখা গেছে। সকালের দিকে রাস্তাঘাটে মানুষজন তুলনামূলক কম থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে রাস্তায় মানুষের চাপও বেড়ে যায়।
এদিকে কুমিল্লা নগরীতে চারজন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে লকডাউন কার্যকর ও মাস্ক পরিধান নিশ্চিতকরণে অভিযান পরিচালিত হয়েছে। সোমবার এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো: আবু সাঈদ, জনি রায়, এস এস মুস্তাফিজুর রহমান ও সৈয়দা ফারহানা পৃথা নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্টের ৪টি অভিযানে ৩২টি মামলায় মোট ৪৩ হাজার ৭ শ টাকা অর্থদণ্ড আদায় করা হয়। এছাড়া গরীব ও অসহায় ব্যক্তিদের মাঝে বিনামূল্যে মাস্ক বিরতণ করা হয়।
এদিকে লকডাউন কার্যকর করতে নগরীর বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ। অতি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হতে সাধারন মানুষকে নিরুৎসাহিত করছেন। তবে পুলিশ কঠোর আচরণ করেননি।
সোমবার খুব সকাল থেকেই কুমিল্লা জেলা জনশক্তি ও কর্মসংস্থান কার্যালয়ে দেখা গেছে লোকজনের দীর্ঘ সারি। এ কার্যালয়ে সেবা গ্রহণ করতে আসা ব্যক্তিদের কেউ কেউ দুই-তিনদিন ধরে কুমিল্লায় অবস্থান করছেন। সেবাগ্রহীতা বেশ কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, ফিঙ্গার প্রিন্ট ও রেজিস্ট্রেশনের কাজ শেষ হলেও বাড়ি ফেরা নিয়ে তাদের দুশ্চিন্তা রয়েছে। নয়ছয় করে গ্রামে গেলেও বাড়তি ভাড়া গুনতে হবে তাদের। চারগুণ পর্যন্ত বাড়তি ভাড়া লেগে যেতে পারে তাদের। আছে ভ্রাম্যমাণ আদালত ও পুলিশের জেরার ভীতিও।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার আফসার উদ্দিন যাবেন সৌদি আরব। ফিঙ্গার প্রিন্ট দিতে এসেছেন রবিবার সকালে। ওইদিন কাজ শেষ না করতে পেরে সোমবার ভোর রাত ৪টা থেকে অবস্থান করছেন কুমিল্লা জেলা জনশক্তি ও কর্মসংস্থান কার্যালয়ে। তিনি জানান,‘আজ কাজ শেষ করতে পারলে বাড়ি যাবার চেষ্টা করবো। কোনো বাধার সম্মুখীন হলে পুরো সপ্তাহ কুমিল্লায় থেকে যেতে হবে।’
Last Updated on April 5, 2021 10:40 pm by প্রতি সময়