‘আজি দখিন-দুয়ার খোলা, এসো হে এসো হে এসো হে আমার বসন্ত এসো’ (রবীন্দ্রনাথ)।এভাবেই শ্যামল বসন্তকে হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসা দিয়ে বরণ করেছে জাতীয় রবীন্দ্র সম্মিলন পরিষদ, কুমিল্লা জেলা শাখা।
রবিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) পহেলা ফাল্গুণের সকালে কুমিল্লা নগরীর বাদুরতলা শিশুমঙ্গল সড়কে হার্ট ভবন প্রাঙ্গণে করোনা পরিস্থিতির কারণে সীমিত পরিসরে সংগঠনের সদস্যদের নিয়ে বরণ করা হয় বসন্তকে।বসন্তের নানা রঙে রাঙিয়ে সংগঠনের ছোটবড় সবাই নিজেদের অনন্য সাজে প্রকাশ করেছে দিনটিতে। সবাই নেচে গেয়ে উৎসবমুখর ও বর্ণিল করে তোলে দুই ঘন্টা ব্যাপী বসন্ত বরণের পুরো আয়োজনকে। সদস্যদের অনাবিল আনন্দ আর ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে উঠে গোটা আয়োজন।
করোনায় অনুষ্ঠান আয়োজনে লাগাম টেনে ধরলেও বাসন্তী আর লাল রঙে প্রকৃতির সঙ্গে নিজেদের সাজিয়ে বসন্তের উচ্ছলতায় মেতে উঠে বরীন্দ্র সম্মিলন পরিষদের সদস্যরা। সংগঠনের সঙ্গীত বিষয়ক সম্পাদক রুমা নাথের পরিালনায় বসন্তের গান ছাড়াও সবার কন্ঠে বাউল, লোক সঙ্গীতের সুরের মুর্ছনা বসন্তের আনন্দযজ্ঞে নতুন মাত্রা যোগ করে।
অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন- বিশিষ্ট হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক কবি, লেখক, সংগঠক তৃপ্তীশ চন্দ্র ঘোষ ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের শিক্ষক জোবাইদ নূর।
বসন্ত বরণের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে ডা. তৃপ্তীশ চন্দ্র ঘোষ বলেন, আমাদের সামগ্রিক কর্মকান্ডে যাতে ভালোবাসা প্রকাশ পায়, আমরা যাতে আমাদের শেকড়কে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে পারি এটাই হবে বসন্ত বরণ আয়োজনের সার্থকতা। বাঙালির সংস্কৃতিতে পহেলা ফাল্গুন-বসন্ত উৎসব বা বরণ ঠাঁই করে নিয়েছে আপন মহিমায়।
জাতীয় রবীন্দ্র সম্মিলন পরিষদ, কুমিল্লা জেলা শাখার সভাপতি ডা, মল্লিকা বিশ্বাস বলেন, পহেলা ফাল্গুণের বসন্ত উৎসব এখন গোটা বাঙালির কাছে ব্যাপকভাবে সমাদৃত। বসন্তের রঙে আজকে আমরা সংগঠনের সবাই রাঙিয়েছি। মনের মাধুরি মেশায়ে আমরা এ উৎসব পালন করছি। করোনা পরিস্থিতির কারণে স্বল্প পরিসরে এ আয়োজনে আমরা বসন্তকে নিবিড়ভাবে বরণ করেছি।
অনুষ্ঠানে সংগঠনের উপদেষ্টা ডা. কবিতা সাহা, সহসভাপতি নিখীল চন্দ্র রায়, মিতা পাল, সংস্কৃতি সম্পাদক রিপা দত্ত, সদস্য-লোপা দত্ত, জ্যোতি সূত্র ধর, অনামিকা দে, নেহা ঘোষ, মনিষা লোধ, ফাইরোজ নোভা, আদ্রিতা, সৃজিতা তুশি, প্রাচী, শতাব্দি, রাখি, মৈত্র দাস গুপ্ত, প্রিয়ন্তি চক্রবর্তী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
Last Updated on February 14, 2021 4:36 pm by প্রতি সময়