কুমিল্লায় পুলিশ প্রশাসনের কঠোর অবস্থানের কারণে সর্বাত্মক লকডাউন পালিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১জুলাই) সকাল থেকে নগরীসহ জেলার সবকটি উপজেলার সড়কে সড়কে আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেছেন।এ সময় জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে লকডাউন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতেও দেখা গেছে।
জেলার দেবিদ্বার এবং মুরাদনগরে স্থানীয় পুলিশ এবং প্রশাসন কঠোর লকডাউন কার্যকরে জোড়ালো ভূমিকা পালন করে। এতে ওই দুই উপজেলার রাস্তা-ঘাট একেবারেই ফাঁকা হয়ে পড়ে।
মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অভিষেক দাশ এবং ওসি সাদেকুর রহমানের নেতৃত্বে প্রশাসন সকাল থেকেই সড়কে অবস্থান করে এ উপজেলায় শতভাগ লকডাউন নিশ্চিত করেন। পাশপাশি দেবিদ্বারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাকিব হাসান এবং ওসি আরিফুর রহমানও একই কায়দায় লকডাউন বাস্তবায়নে কাজ করেন।
এ ছাড়া কুমিল্লা নগরীতে লকডাউন কার্যকরে কাজ করেছেন কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য আকম বাহাউদ্দিন বাহার,জেলা প্রশাসক কামরুল হাসানসহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা।
কুমিল্লার জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান বলেন, সরকার ঘোষিত লকডাউন কার্যকরে আমরা কঠোর অবস্থানে ছিলাম, জেলার সর্বত্রই মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। লকডাউন কার্যকরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে মোট ৪৫টি মোবাইল, সেনাবাহিনীর ১২টি, পুলিশের ৬৫টি, আনসারের ৪টি, বিজিবির ৫টি টিম মাঠে কাজ করে। এ সময় ২৭১টি মামলা দেয়া হয়। ২লাখ ৪৭ হাজার ৭শত টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার, সিএনজিসহ ৪০টি যানবাহন জব্দ করা হয়। ৭জনকে বিভিন্ন মেয়াদে করাদন্ড প্রদান করা হয়।
# দেশ-বিদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে প্রতিসময় (protisomoy) ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।
Last Updated on July 1, 2021 11:07 pm by প্রতি সময়