
কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র পদে উপনির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর থেকেই প্রার্থীরা আচরণবিধি যাতে লঙ্ঘন না হয়, সেই দিক খেয়াল রেখে বিভিন্ন কৌশলে প্রচারণা চালিয়ে আসছেন। যদিও প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে প্রচারণা শুরুর বিধিবিধান রয়েছে, তদুপরি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারণা এখন তুঙ্গে। নির্বাচনে অংশ নেওয়া চার মেয়র প্রার্থীর দু’একজন ইতিমধ্যে বিভিন্ন আঙ্গিকে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মতবিনিময়ের মাধ্যমে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন কুমিল্লা মহানগর আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা মেয়র প্রার্থী নুর উর রহমান মাহমুদ তানিম। এদিন কুমিল্লা নগরীর টমছমব্রীজস্থ একটি রেস্টুরেন্টের হলরুমে আসন্ন কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের উপ নির্বাচন নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে মেয়র প্রার্থী নূর-উর-রহমান মাহমুদ তানিম বলেন, এবারের কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন হবে ভালোবাসা ও সম্প্রীতির নির্বাচন। কোনো প্রকার চক্রান্ত এবার আর কাজে আসবে না। যতই নির্বাচন ঘনিয়ে আসবে, ততই গুজব ছড়াবে, অত্যাচার বাড়বে। আপনারা কেউ বিভ্রান্ত হবেন না। এই নির্বাচন হবে রাজনৈতিক নেতাদের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার নির্বাচন। তিল তিল করে গড়ে উঠা রাজনৈতিক কর্মীদের রক্ষার নির্বাচন। আমি যদি কুমিল্লার মানুষদের ভোটে নির্বাচিত হতে পারি, তাহলে আমি সকল দূরত্ব ভুলে সকল ভাইদের নিয়ে কুমিল্লা নগরীকে শান্তি ও সৌহার্দ্যের শহর হিসেবে গড়ে তুলবো।
এসময় তানিম আরো বলেন, কুমিল্লার মানুষ এবার তাদের যোগ্য মানুষকে বাছাই করবে। শেষ দিন পর্যন্ত আমি আমার লড়াই চালিয়ে যাবো। কেউ যদি নির্বাচনী কার্যক্রমে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে,তাহলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সহায়তায় তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিবো। আমি মেয়র হতে পারলে কুমিল্লার জনগণের দুঃখ, দুর্দশামুক্ত করতে কাজ করবো। এছাড়াও, কিশোর গ্যাংয়পর আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতা যারা তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নিবো।
উল্লেখ্য, আগামী ৯ মার্চ কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন উপ নির্বাচনে মেয়র পদে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে চারজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন- কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র বিএনপি নেতা মনিরুল হক সাক্কু, কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. তাহসিন বাহার সূচনা, কুমিল্লা মহানগর আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা নুর উর রহমান মাহমুদ তানিম ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি নিজাম উদ্দিন কায়সার।