
কুমিল্লা নগরীর দক্ষিণ চর্থা এলাকার মরহুম আব্দুল লতিফ খন্দকার ওরফে মনু মিয়া চেয়ারম্যানের পুত্র ইতালি প্রবাসী আব্দুল আউয়ালের পৈত্রিক সম্পত্তি খন্দকার হাউজিংয়ে অবস্থিত তার ভবনে দুর্বৃত্তরা কয়েকদিন পর পর চুরি, হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটাচ্ছে।
বুধবার (৮ অক্টোবর) কুমিল্লা ইপিজেড এলাকায় খন্দকার হাউজিংয়ে পাইপ চুরির ঘটনা ঘটে। এই ঘটনাটি পুলিশকে অবহিত করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে চলে যাওয়ার পর দুর্বৃত্তরা ইতালি প্রবাসী আব্দুল আউয়ালের একটি ভবনে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে।
এর আগেও আব্দুল আউয়ালের ভবনে চুরি ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। পূর্বের ঘটনার বিষয়েও তিনি কোতয়ালি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
ভুক্তভোগী আব্দুল আউয়াল বলেন, ‘আমি ও স্ত্রী, সন্তানরা ইটালিয়ান সিটিজেন। আমি বিএনপির একজন সমর্থক এবং বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াসিনের অনুসারী। কুমিল্লা ইপিজেডের দক্ষিণ গেটের বিপরীতে খন্দকার হাউজিং আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি। সেখানে আমার বহুতল ভবন ও অফিস রয়েছে। ইতালি থেকে দেশে এলেই সম্পদ দেখাশোনার বিষয়ে সেখানে যেতে হয়। গত বছরের ডিসেম্বরে আমি বাংলাদেশে এসেছি। সেখানে আমার হাউজিং অফিস গেলে গত ১ সেপ্টেম্বর হঠাৎ কিছু দুর্বৃত্ত আমার অফিসে এসে চাঁদা দাবি করে এবং অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে। পরে জানতে পারি দুর্বৃত্তদের বেশিরভাগই চর্থা বড় পুকুরপাড় এলাকার। তারাই গত বছরের ৫ আগস্ট আমার অফিসের মালামাল লুট করে নিয়ে যায়, ভাংচুরও করে। ওইসময় পরিবার নিয়ে ইটালিতে অবস্থান করছিলাম। পরে খবর পেয়ে বাংলাদেশে আসার প্রস্তুতি নেই এবং ডিসেম্বর মাসে আসি। দেশে এসেও হুমকি ধমকির মধ্যে আছি। প্রায় সময় দুর্বৃত্তরা খন্দকার হাউজিংয়ে আমার ভবনের ক্ষতিসাধন করে আসছে এবং নির্মাণাধীন ভবনের মালামাল চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। দেশে এসে স্ত্রী সন্তানরাও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। আজ বুধবারও আমার হাউজিংয়ে চুরি ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আমি প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করবো, দুর্বৃত্তদের চিহ্নিত করে তাদের আইনের আওতায় আনা হোক।