কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে কিনে বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল নিয়ে মাইক্রোবাসযোগে কক্সবাজার যাচ্ছিল দুই মাদক ব্যবসায়ি।কিন্তু ফেনসিডিল নিয়ে নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছানোর আগে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন- র্যাব-৭ সিপিসি-২ এর আভিযানিক টিমের হাতে আটক হলেন দুই মাদক ব্যবসায়ি।উদ্ধার করা হয় মাইক্রোবাসের ভেতরে তিনটি বস্তায় লুকানো ৭৯১বোতল ফেনসিডিল।
শুক্রবার (২৫ ডিসেম্বর) ভোরে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের লোহাগাড়ায় চুনতি হাজী রাস্তার বাকাপুল এলাকায় তল্লাশি অভিযানে ফেনসিডিল উদ্ধার ও মাদক চোরাচালানের অভিযোগে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার আসামিরা হলেন- কক্সবাজার জেলারা চকোরিয়া থানার বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন (৪০) ওরফে কালু ড্রাইভার এবং আনসারুল ইসলাম (৩০)। এ ঘটনায় র্যাব বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে লোহাগাড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে এবং আসামীদের লোহাগাড়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে র্যাব-৭ এর মিডিয়া অফিসার মাহমুদুল হাসান মামুন গণমাধ্যমকে জানান, ‘বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য নিয়ে কুমিল্লা থেকে একটি মাইক্রোবাস কক্সবাজারের দিকে যাচ্ছে, গোপন সূত্রে এমন খবর পেয়ে র্যাব-৭ সিপিসি-২ এর একটি আভিযানিক দল লোহাগাড়া থানার চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চুনতি হাজী রাস্তার মাথায় একটি বিশেষ চেকপোস্ট বসিয়ে গাড়ি তল্লাশি শুরু করে। চেকপোস্টের দিকে আসা একটি মাইক্রোবাসের (চট্ট-মেট্রো-চ-১১-৩৩৩৯) গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলে র্যাব সদস্যরা সেটিকে থামার সংকেত দেন। কিন্তু সেটি র্যাবের চেকপোস্টের সামনে না থামিয়ে দ্রুত পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় র্যাব সদস্যরা ধাওয়া করে আসামি আনোয়ার হোসেন ও আনসারুল ইসলামকে গ্রেফতার করে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের কথা অনুযায়ী মাইক্রোবাসের পেছনের সিটের নিচে ৩টি বস্তায় সুকৌশলে লুকানো অবস্থায় ৭৯১ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। আসামিরা দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে বিভিন্ন কৌশলে চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্রি করে আসছিল। উদ্ধারকৃত ফেনসিডিলের আনুমানিক মূল্য ৮ লাখ টাকা।
Last Updated on December 25, 2020 7:33 pm by প্রতি সময়