রবিবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৪:০৪ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
ভূমিকম্পে কুবির আবাসিক হলের দেয়ালে ফাটল মনোনয়ন বাতিলের ষড়যন্ত্র চলছে, সংবাদ সম্মেলনে কুমিল্লা-৭ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী টিটুর অভিযোগ এমপি রাজি মোহাম্মদ ফখরুলকে নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির কারণ দর্শানো নোটিশ কুমিল্লায় ভূমিকম্প আতঙ্কে ২০ জন আহত দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত, উৎপত্তিস্থল কুমিল্লার রামগঞ্জ অঞ্চল ভবিষ্যত গঠনে সর্বোত্তম সময় ছাত্রজীবন অনূর্ধ্ব-১৮ ক্রিকেটে চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা জেলা দল মুরাদনগরের কোম্পানীগঞ্জে দেশীয় মুখরোচক খাবার নিয়ে আল সৌদিয়া রেস্তোরাঁর যাত্রা শুরু বরুড়ায় সাবেক শিক্ষার্থীদের সংগঠন বৃত্তি দিল অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের কুমিল্লায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষ নেওয়ায় আওয়ামী লীগ নেতার ওপর হামলা মৃত্যুর আগে ‘বীর নিবাস’ ঘরে বসত হলো না মুক্তিযোদ্ধা মোবারক উল্লাহর মহাসড়কে আতঙ্কের আরেক নাম লাইসেন্সবিহীন কিশোর চালক # যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছার প্রতিটি মুহূর্ত দুর্ঘটনা ঝুঁকিতে কুমিল্লায় ডিসির স্বাক্ষর জাল করে ভুয়া দলিলে সরকারি ভূমি দখলের অভিযোগ # তদন্তে অভিযোগ প্রমানিত হলেও মামলা কিংবা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ হয়নি কুমিল্লার ১১টি আসনে মনোনয়ন জমা দিলেন যারা কুমিল্লার ১১টি আসনে ১২১ জন প্রতিটি মানুষকে মনে রাখতে হবে সুস্থ হার্ট সুস্থ জীবন : ডা. তৃপ্তীশ কোটবাড়ি এলাকায় তিশা পরিবহনের তিন বাসে আগুন উৎসবমুখর পরিবেশে এমপি বাহারের মনোনয়নপত্র দাখিল ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ থেকে আবু জাহেরের পদত্যাগ # স্বতন্ত্র প্রার্থী হবেন কুমিল্লা-৫ আসনে কুমিল্লার মুরাদনগরে সড়ক ও জেলা পরিষদের জায়গা দখল করে অবৈধ স্থাপনা # ভাড়া ও বরাদ্দের নামে লাখ লাখ টাকা চাঁদাবাজি

গাসিক মেয়রের প্রচেষ্টায় একনেকে অনুমোদন পেল হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প

মো. দেলোয়ার হোসেন, স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর
  • আপডেট টাইম বুধবার, ২৩ জুন, ২০২১
  • ১০৬ দেখা হয়েছে
মো. জাহাঙ্গীর আলম। ফাইলফটো

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ৬৮৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘গাজীপুর জেলা পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন’ প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

প্রকল্পের আওতায় জেলার প্রায় তিনশ কিলোমিটার কাঁচা সড়ক পাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া দুইটি গ্রোথ সেন্টার বাজার উন্নয়নের প্রস্তাবও রয়েছে এই প্রকল্পে।

মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে প্রকল্পগুলো অনুমোদন দেয়া হয়।

উল্লেখ যে, একনেকে এসব প্রকল্প অনুমোদনের জন্য দীর্ঘদিন গাজীপুর সিটি করপোরেশন (গাসিক) মেয়র জাহাঙ্গীর আলম বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সচিবালয় চষে বেড়িয়েছেন। এছাড়াও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের ‘গাজীপুর সিটি করপোরেশনের জন্য এবং বিভিন্ন অঞ্চলে বাস-ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণের নিমিত্তে জমি অধিগ্রহণ’ প্রকল্পে ৭৮২ কোটি ২৫ লাখ টাকা অনুমোদন দেয়া হয়েছে। প্রকল্পটি ২০২১ সালের জুলাই থেকে ২০২২ সালের জুন মেয়াদে বাস্তবায়ন করা হবে।

পরিকল্পনা কমিশন সূত্র বলছে, ‘গাজীপুর জেলা পল্লী অবকাঠামে উন্নয়ন’ শীর্ষক এই প্রকল্পটিতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৮৫ কোটি টাকা। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এটি বাস্তবায়নের কাজ করবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হলে জেলার ২৮৬ দশমিক ৮৬ কিলোমিটার গ্রামীণ সড়ক পাকা হবে। পরিকল্পনা কমিশনের তথ্য বলছে, গাজীপুরে মোট নিবন্ধিত গ্রামীণ সড়কের পরিমাণ ৬ হাজার ৬৯৪ দশমিক ৩১ কিলোমিটার। এর মধ্যে ৪ হাজার ৩৯৬ দশমিক ১ কিলোমিটার সড়ক কাঁচা। প্রকল্পের আওতায় এর ৬ দশমিক ৫৩ শতাংশ সড়ক পাকা করা হবে। এতে গ্রাামীণ যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটবে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

পরিকল্পনা কমিশন মনে করছে, শিল্পাঞ্চলে ভারী যানবাহনের চলাচলে সহায়ক সড়ক উন্নয়ন ও প্রশস্ত করার মাধ্যমে পরিবহন ব্যয় সময় কমানো যাবে। গ্রামীণ জনগণের জন্য গ্রাম, বাজার, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং অন্যান্য সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানে যাতায়াত সুবিধা বাড়বে। এতে গ্রামীণ জনগোষ্ঠী বাড়তি সুবিধা পাবে এবং তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন হবে।

পরিকল্পনা কমিশনের একাধিক কর্মকর্তা বলেন, প্রকল্পটি প্রস্তাব পাওয়ার পর ২০২০ সালের ২০ ডিসেম্বরে প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি (পিইসি) সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় কিছু সুপারিশ দেওয়া হয়েছিল। সেগুলো বাস্তবায়ন করে উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) পুনর্গঠন করা হয়েছে। এটি এখন জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদন হয়েছে। চলতি বছর জুলাই থেকে ২০২৫ সালের জুন মেয়াদের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি)।

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় বলছে, ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের সড়ক যোগাযোগের জন্য গাজীপুর জেলা প্রবেশদ্বার হিসেবে বিবেচিত। এ জেলার বিভিন্ন দিকের মূল সড়ক এবং সংযোগ সড়ক বাস্তবায়ন করা অপরিহার্য। জেলাটি শিল্প খাতেও দেশের মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি জেলা। সারাদেশের রাজস্ব আয়ের একটি বিরাট অংশ আসে এ জেলার শিল্পাঞ্চল এবং পর্যটন এলাকা থেকে। ফলে এই জেলার মধ্যে সড়ক যোগাযোগ উন্নত হওয়া জরুরি।

মন্ত্রণালয় বলছে, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা গেলে প্রকল্প এলাকায় সহজ ও নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা, শিল্পজাত পণ্যেও বাজারজাত করণের সুবিধা এবং গ্রামীণ জনগণের বাণিজ্যিক সুবিধা ও কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে। এই সুবিধা পরবর্তী সময়ে রফতানিযোগ্য পণ্য পরিবহনেও ভূমিকা রাখবে। এই জেলায় গ্রামাঞ্চলের অনেক সড়কই এখনো উন্নয়ন করা সম্ভব না হওয়ার কারণেই প্রকল্পটি প্রস্তাব করা হয়েছে। এদিকে, প্রকল্পের আওতায় দুইটি গ্রোথ সেন্টার বাজার উন্নয়ন করা হবে। এলজিইডি বলছে, গ্রামীণ অর্থনীতি ও ব্যবসা-বাণিজ্যকে গতিশীল করতে এ ধরনের গ্রোথ সেন্টার ইতিবাচক ভূমিকা রাখে।

গাজীপুরের গ্রামীণ এলাকায় এরকম দুইটি গ্রোথ সেন্টারও সংশ্লিষ্ট এলাকার নাগরিকদের জন্য ইতিবাচক ফল বয়ে আনবে। এই প্রকল্পের মূল কার্যক্রমের আওতায় ৬৫ দশমিক ৭৪ কিলোমিটার উপজেলা সড়ক উন্নয়ন, ৯১ দশমিক শূন্য ৩ কিলোমিটার ইউনিয়ন সড়ক উন্নয়ন ও ২৮৭ দশমিক ১২ কিলোমিটার গ্রাম সড়ক উন্নয়ন করা হবে। সবগুলো সড়কই একইসঙ্গে প্রশস্তও করা হবে।

# দেশ-বিদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে প্রতিসময় (protisomoy) ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

Last Updated on June 23, 2021 10:01 pm by প্রতি সময়

শেয়ার করুন
এই ধরনের আরও খবর...

বিস্তারিত জানতে ছবিতে ক্লিক করুন।

themesba-lates1749691102