করোনাভাইরাসের প্রভাবে সব সেক্টরই কমবেশি ক্ষতিগ্রস্ত।বিশেষ করে শিক্ষার ক্ষেত্রে করোনা কেবল সাময়িক প্রভাবই ফেলেনি, এটি সৃষ্টি করেছে শিখনের দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি।করোনাকালীন লেখাপড়ার যে ক্ষতি হচ্ছে তা মেনে নিতেই হবে।জীবনের চেয়ে কোনো কিছুই অগ্রাধিকার পেতে পারে না। তবে যতটুকু ক্ষতির পরিমাণ কমানো যায় সেটাই বিবেচ্য।করোনার এই কঠিন সময়ে ঘরে লেখাপড়ার এমন পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে, যাতে বিদ্যালয়ের লেখাপড়ার সেই ঘাটতি পূরণ করা যায়।আর এবিষয় নিয়েই লিখেছেন ‘প্রতিসময়’ এর শিক্ষা-সাহিত্য বিভাগের নিয়মিত লেখক কুমিল্লার স্বনামধন্য শিশু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নজরুল মেমোরিয়াল একাডেমীর সিনিয়র সহকারী শিক্ষক মোঃ ফারুকুল ইসলাম।
-করোনাকালে ঘরেই গড়ে তুলুন বিদ্যালয়ের পরিবেশ-
বর্তমানে শিক্ষার্থীরা বাড়িতে পুরো সময়টাই অভিভাবকের তত্ত্বাবধানে রয়েছে। তাই এ সময়টায় সম্মানিত অভিভাবকগণ পড়ালেখারত সন্তানের দিকে বাড়তি নজরদারি দিবেন। লেখাপড়ার অভ্যাস গঠন থেকে যাতে তাদের কোনভাবেই বিচ্যুতি না ঘটে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলে বাসায় পাঠ্যপুস্তকে মন না বসাটাই স্বাভাবিক। পড়তে মন চায় না, এটা চরম সত্য কথা। এই অবস্থায় শিক্ষার্থীরা যাতে মানসিক কোনো সমস্যায় না পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
আমরা যারা নজরুল মেমোরিয়াল একাডেমীতে শিক্ষকতা করছি, আমরা বছরের প্রথম জানুয়ারি মাস থেকেই আমাদের সন্তানতুল্য শিক্ষার্থীদের সাপ্তাহিক বিষয় ভিত্তিক শীট দিচ্ছি। আমরা এপ্রিল মাসে সম্মানিত অভিভাবকদের তত্ত্বাবধানে প্রথম সাময়িক পরীক্ষা নিয়েছি। পরীক্ষার খাতায় ছাত্র-ছাত্রীদের করা ভুল-ভ্রান্তিগুলো আমরা শিক্ষকরা দেখিয়ে দিয়েছি যাতে তারা সংশোধিত হতে পারে। এরই ধারাবাহিকতায় আমরা দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা নিচ্ছি। এক্ষেত্রে সম্মানিত অভিভাবকগণ বাসায় শিক্ষকের ভূমিকা পালন করছেন। এসময়ে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া, ঘরে বসে পরীক্ষা দেয়ার ক্ষেত্রে তার আগ্রহের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে।
যেসব বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে-
# বাসায় বার বার চেষ্টার মাধ্যমে দুর্বল অধ্যায়গুলো আয়ত্বে আনতে হবে। অন্যথায় পরবর্তী শ্রেণিতে সমস্যা হতে পারে।
# চলতি ক্লাশের পাঠ্যপুস্তক সম্পর্কে পুরোপরি ধারণা থাকতে হবে। অন্যথায় পরবর্তী শ্রেণির পড়াগুলো বুঝতে অসুবিধা হবে। কেননা পূর্ববর্তী শ্রেণির পড়ার সাথে পরবর্তী শ্রেণির পড়ার ধারাবাহিকতা থাকে।
# বাসায় নিজ নিজ ধর্মীয় বিষয় চর্চা করতে হবে। হাতের লেখা সুন্দর ও অংকনের চর্চা করতে হবে।
# অভিভাবকগণ সন্তানদের প্রতিদিন রুটিন মাফিক কোয়ালিটি সময় দিবেন। তাতে তারা একঘেয়ামি অনুভব করবে না, মানসিক প্রশান্তি পাবে। আর করোনার এ সময়ে ঘরে লেখাপড়ার পরিবেশ বিদ্যালয়কেন্দ্রিক গড়ে তুলতে পারলে অভিভাবকদের সাথে সন্তানের আচরণও শিক্ষক-শিক্ষার্থীর মতো গড়ে উঠবে।
# দেশ-বিদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে (protisomoy) ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।
Last Updated on August 23, 2021 12:30 pm by প্রতি সময়