মানুষের চোখ একটি ইন্দ্রিয় অঙ্গ। সংবেদনশীল স্নায়ুতন্ত্রের অংশ। চোখকে একটি জীবন্ত অপটিক্যাল ডিভাইস হিসেবেও বিবেচনা করা যেতে পারে।
আর এমন একটি ইন্দ্রিয় অঙ্গের সনদধারী চিকিৎসক না হয়েও ব্যবস্থাপত্র (প্রেসক্রিপশন) দিয়ে নিয়মিত চোখের রোগী দেখছেন কাজী মো. এবাদ উল্লাহ নামের চিকিৎসক সহকারী।
কুমিল্লার চান্দিনা, ইলিয়টগঞ্জ, দাউদকান্দিসহ ও বিভিন্ন এলাকায় চেম্বার গড়ে তুলে নিজেকে চক্ষু চিকিৎসক পরিচয়ে কনসালটেশন ফি নিয়ে রোগী দেখা এবং একই সঙ্গে ওষুধ ও চশমা বিক্রির ব্যবসা করে আসছেন কাজী মো. এবাদ উল্লাহ।
বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনের নজরে আসায় ভ্রাম্যমান আদালতের মুখোমুখি হতে হয় কাজী মো. এবাদ উল্লাহকে। চক্ষু চিকিৎসক হিসেবে তার কোন সনদ বা যোগ্যতার প্রমাণপত্র প্রদর্শনে ব্যর্থ হওয়ায় কথিত চক্ষু চিকিৎসক এবাদ উল্লাহকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত।
মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় চান্দিনা উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) উম্মে হাবিবা মজুমদার ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে এ সাজা দেন।
এদিন সন্ধ্যায় কুমিল্লার চান্দিনা পশ্চিম বাজারস্থ আব্দুল্লাহ চশমা ঘর দোকানের পেছনে তার গড়ে তোলা চেম্বারে রোগী দেখা অবস্থায় হাতেনাতে আটক করে তাকেই সাজা দেওয়া হয়। একই সময়ে চশমা ঘর দোকানের মালিককে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
দণ্ডপ্রাপ্ত কাজী মো. এবাদ উল্লাহ কুমিল্লা চক্ষু হাসপাতালের চিকিৎসকের সহকারি হিসেবে কাজ করেন। তিনি চান্দিনা উপজেলার বাতাঘাসী গ্রামের কাজী জয়নাল আবেদীনের ছেলে।
এ বিষয়ে চান্দিনা উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) উম্মে হাবিবা মজুমদার জানান, চিকিৎসক হিসেবে নিজের কোন পরিচয়পত্র এমনকি চিকিৎসা সেবা প্রদানে তার যোগ্যতার কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেননি এবাদ উল্লাহ। তিনি সপ্তাহে দুই দিন চান্দিনা উপজেলা সদরের একটি দোকানে চেম্বার করেন। প্রতিদিন প্রায় ৩০-৪০জন রোগী দেখেন এবং রোগীদের কাছ থেকে ফি নেন। মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন-২০১০ অনুযায়ী তাকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে।
Last Updated on September 19, 2023 10:43 pm by প্রতি সময়