জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলার স্বপ্ন আজ বাস্তবতা উল্লেখ করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেছেন, জাতির পিতার স্বপ্নের বাস্তবায়ন ঘটেছে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে। তারই বহিঃপ্রকাশ করোনা মোকাবিলা।বৈশ্বিক করোনা পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে বিশ্বের কাছে প্রশংসিত হয়েছে। এ সফলতার কারণে সেনাপ্রধান হিসেবে আমি গর্বিত।
বৃহস্পতিবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে নবগঠিত কক্সবাজারের রামু সেনানিবাসে চারটি ইউনিটের পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সেনাপ্রধান এসব কথা বলেন।
পতাকা উত্তোলন প্যারেডে উপস্থিতির উদ্দেশে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবিলাসহ দেশের আর্থ-সামাজিক এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। কর্মদক্ষতা, কঠোর পরিশ্রম ও কর্তব্য নিষ্ঠার স্বীকৃতিস্বরূপ প্রাপ্ত জাতীয় পতাকার মর্যাদা রক্ষা এবং দেশমাতৃকার যেকোনো প্রয়োজনে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে সব ইউনিটকে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশনা দেন তিনি।
সেনাপ্রধান বলেন, করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সেনাবাহিনী নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় তিন লাখ ২৪ হাজার ৭০০ পরিবারকে খাদ্য সহায়তার পাশাপাশি ২৯ হাজার ৬১ জন কৃষককে মৌসুমি ফসল বীজ বিনামূল্যে সরবরাহ করেছে। পোশাক দিয়েছে ২৯ হাজার ২৮৯টি দুস্থ পরিবারকে। এছাড়া সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে সারাদেশে ৭৪ হাজার ২৩৫টি টহল পরিচালনা করেছেন সেনা সদস্যরা। করোনার কারণে যখন সাধারণ মানুষের চিকিৎসাসেবা পেতে সমস্যা হচ্ছিল, তখন সেনাবাহিনীর চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে অস্থায়ী ক্যাম্প পরিচালনা করে ৫০ হাজার ৮৩১ জনকে চিকিৎসাসেবা দিয়েছেন। পাশাপাশি ১৪ হাজার ৬৪৭ জন গর্ভবতী মায়েদের দেয়া হয়েছে বিশেষ চিকিৎসাসেবা। দেশের বিভিন্ন স্থানে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার স্থাপন ও পরিচালনায় সেনাবাহিনী নির্ভরতা ও দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে।
সেনাপ্রধান বলেন, করোনাকালে সেবার মানদণ্ডে সেনাবাহিনীর চিকিৎসা ব্যবস্থা দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিশ্বের কাছে রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আমাদের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের অক্লান্ত পরিশ্রম, ত্যাগ ও সেবার মানসিকতা এ অর্জনের পেছনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
অনুষ্ঠানে ১০ পদাতিক ডিভিশন রামু সেনানিবাসে উপস্থিত সেনা সদস্যদের ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের প্রতি আস্থা, পারস্পারিক বিশ্বাস, সহমর্মিতা, ভ্রাতৃত্ববোধ বজায় রেখে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সুশৃঙ্খল, দক্ষ ও যোগ্য সেনাসদস্য হিসেবে গড়ে ওঠার এবং পেশাদারিত্বের ঈপ্সিতমান অর্জনের মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক যেকোনো হুমকি মোকাবিলায় সদা প্রস্তুত থাকার নির্দেশনাও প্রদান করেন জেনারেল আজিজ আহমেদ।
অনুষ্ঠানে ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তা ও বিভিন্ন পদবির সেনাসদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
# দেশ-বিদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে প্রতিসময় (protisomoy) ফেসবুক পেইজে লাইক দিন। এছাড়া protisomoy ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন ও বেলবাটন ক্লিক করে নতুন নতুন ভিডিও নিউজ পেতে অ্যাকটিভ থাকুন।
Last Updated on December 3, 2020 6:52 pm by প্রতি সময়