একসময় কুমিল্লা নগরীর মাদক বাণিজ্যের অন্যতম ডিপো ছিলো শাসনগাছা রেলওয়ে বস্তি, রেইসকোর্স ও বাদশা মিয়ার বাজার এলাকা।এখানে চলতো চোরাচালানী পণ্য আর মাদকদ্রব্য বিক্রির রমরমা ব্যবসা।আইন-শৃংখলা বাহিনীর এমন কোন সংস্থা নেই যারা ওই এলাকায় মাদক, চোরাচালান বিরোধী অভিযানে অংশ নেয়নি।ওই এলাকায় পুরুষের চেয়ে নারী মাদক বিক্রেতার সংখ্যাই বেশি। যাদের অনেকেই মাদক সম্রাজ্ঞির অভিধা পেয়েছে।
সময়ের পরিক্রমায় শাসনগাছা, রেইসকোর্স, বাদশা মিয়া বাজার এলাকায় মাদকের বেচাবিক্রি আগের চেয়ে অনেকটা কমে এলেও পুরোপুরি নির্মূল হয়নি।এখনও এখানে নারী মাদক বিক্রেতাদের হাকডাক রয়েছে।নারী মাদক বিক্রেতাদের অনেকেই একাধিকবার জেলে খেটেছে। জেল থেকে জামিনে বেরিয়ে এসে ফের মাদক ব্যবসায় জড়িয়েপড়ে তারা।
বুধবার (১৮ আগস্ট) সকাল ১১টার দিকে কুমিল্লা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম মোস্তফার নেতৃত্বে ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক চৌধুরী ইমরুল হাসানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে শাসনগাছার বাদশা মিয়ার বাজার সংলগ্ন পশ্চিম রেসকোর্স জহির মিয়ার বাড়ীতে মাদক বিরোধী অভিযান চালায় ট্রাস্কফোর্স।
এসময় মাদক বিক্রেতা পাখি বেগমের ঘর থেকে উদ্ধার করা হয় ৬০০ পিস ইয়াবা। একই সময়ে ওই এলাকায় দশটিরও বেশি মাদক মামলার আসামী বেবী আক্তারের ঘরে অভিযান চালানো হয়।মাদক সম্রাজ্ঞি অভিধা পাওয়া বেবী’র বসত ঘর থেকে উদ্ধার করা হয় ৭৭ বোতল এস্কাফ সিরাপ ও মাদক বিক্রির ১ লাখ ৪৮ হাজার ৭৫০ টাকা।
পরে মাদকসহ বেবী ও পাখীকে গ্রেফতার করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়।সেখান থেকে তাদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা প্রস্তুত করে কুমিল্লা কোতয়াল মডেল থানায় প্রেরণ করা হয়।পরে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।বেবী ও পাখী দু’জনই নগরীর আলোচিত মাদক ব্যবসায়ী।
অভিযানে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ইন্সপেক্টর আবু বকর সিদ্দিক, মাহবুবুল আলম ভূঞাঁসহ পুলিশ ফোর্স, এনএসআই’র সদস্যগণ অংশগ্রহণ করেন।
# দেশ-বিদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে প্রতিসময় (protisomoy) ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।
Last Updated on August 18, 2021 10:26 pm by প্রতি সময়