# যদি সময় থাকে তবে ছোট্ট করে একটা মাসাজ নিয়ে নিন। এতে পেশি শিথিল হবে। টেনশন কমবে। সময় না থাকলে নিজেই ঘাড়ে, কাঁধে, কানের পিছনে হালকা আঙুলের চাপে মাসাজ করতে থাকুন।
# কম তাপের গরম পানিতে পা ডুবিয়ে রাখুন, বোতল অথবা ব্যাগে গরম পানি ভরে ঘাড়, কোমর, কাঁধে আস্তে আস্তে সেঁক দিন। এতে টেনশনও কমবে, ব্যথা থাকলে তা-ও দূর হবে।
# হালকা গরম পানিতে গোসল করলে যে কোনও সময়ই আরাম লাগে। ৩৬ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস উষ্ণতায় পানি গরম করে ভাল করে গোসল সেরে নিন। টেনশন দূর হবে।
# কর্মস্থলে বা ঘরে কাজের অনেক চাপ থাকলে মাথা গরম করবেন না, শান্ত হয়ে একটু হাটাচলা করুন। হাত, পা নাড়াচাড়া করলে, সচল থাকলে হালকা লাগে। এতে রক্ত চলাচল ভাল হয়ে স্বস্তি পাবেন। টেনশন কমাতেও এই হাটাচলা কাজে আসবে।
# শরীরে অক্সিজেনের অভাবে পেশি শক্ত হয়ে গেলে টেনশন বেশি হয়। তাই হালকা স্ট্রেচিং এক্সারসাইজ করুন যাতে পেশি শিথিল ও সচল হয়। শরীরে অক্সিজেনের পরিমাণ বাড়ে, রক্ত চলাচল ভাল হয়।
# যোগ ব্যায়াম করলে টেনশন কমে। এটা জানা থাকলে ভাল। না জানা থাকলে হঠাৎ করার দরকার নেই। এ জাতীয় সহজ ব্যায়াম করলেও টেনশন কমে।
# ডিহাইড্রেশন টেনসন বাড়ায়। দেখবেন নার্ভাস লাগলে গলা শুকিয়ে যায়। তাই টেনশন হলে অল্প অল্প করে পানি পান করুন।
# ঘুমের সঙ্গে কোন কম্প্রোমাইজ নয়। অন্তত ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা ঘুম যেন হয় । না হলে মাথা কাজ কম করবে। সিদ্ধান্ত নিতে অসুবিধা হলে টেনশন বেশি হবে।
# খাওয়া, দাওয়া ঠিকঠাক ও নিয়মিত করবেন। শরীরে অস্বস্তি যেমন টেনশন বাড়ায়, তেমনই খালি পেটে থাকলেও মাথা কাজ করে না। টেনশন, টেনশন লাগে।
# সবশেষে নিজেকে জানুন, চিনুন আর নিজেকে বুঝান যে, টেনশন করে কোনও লাভ নেই। চিন্তা করেও কোন সমস্যার সমাধান হয় না। মাথা ঠান্ডা রাখলে অনেক জটিল সমস্যারও সমাধান করে ফেলা যায়।
Last Updated on July 20, 2020 12:36 pm by প্রতি সময়