ডাকাতির টাকা ভাগাভাগি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে খুন হন কুমিল্লার তিতাস উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা মোস্তফা কামাল। তিনি এবং খুনের সঙ্গে জড়িতরা আন্ত:জেলা ডাকাত দলের সদস্য। এদিকে ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুইজনকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।
রোববার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে কুমিল্লা পুলিশ সুপার মো. আব্দুল মান্নান প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
এর আগে শনিবার রাতে আওয়ামী লীগ নেতা মোস্তফা কামাল খুনের ঘটনায় ডাকাতদলের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান আরো জানান, গত ১৮ ডিসেম্বর বিকেলে গলায় ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয় তিতাস উপজেলার ভিটিকান্দি ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামালকে। ঘটনার পরদিন ১৯ ডিসেম্বর নিহতের স্ত্রী রোজিনা আক্তার বাদী হয়ে তিনজনের বিরুদ্ধে তিতাস থানায় হত্যা মামলা করেন। জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ মামলার তদন্ত শুরু করেন।
পুলিশ সুপার জানান, নিহত মোস্তফা কামাল ও মামলার তিন আসামি সাইদুল, নাজিম উদ্দিন ও মো. মাইন উদ্দীন একই গ্রামের বাসিন্দা। তারা আন্ত:জেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। প্রত্যেকের নামে বিভিন্ন থানায় একাধিক ডাকাতি ও ডাকাতির প্রস্তুতির মামলা আছে। কিছুদিন আগে ডাকাতির টাকা ভাগাভাগি নিয়ে মোস্তফা কামালের সঙ্গে তাদের কথা-কাটাকাটি ও একপর্যায়ে মারামারি হয়। এরই জেরে মোস্তফা কামালের ওপর সাইদুল, নাজিম ও মাইন উদ্দীন ক্ষুব্ধ ছিলেন।
ঘটনার দিন নারান্দিয়া ইউনিয়নের নয়াচর এলাকার হোরন মিয়ার চায়ের দোকানের সামনে তাস খেলার সময় সাইদুল ও নাজিম উদ্দীন মিলে মোস্তফা কামালকে ঘাড়ে, মাথায় ও কপালে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে খুন করে পালিয়ে যান।
মামলা দায়েরের পরে ৩০ ডিসেম্বর রাতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ আসামি নাজিম উদ্দীন ও রুমন ব্যাপারী সুমনকে চাঁদপুর থেকে গ্রেফতার করে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার আশফাকুজ্জামান, মো. নাজমুল হাসান, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজেশ বড়ুয়া।
Last Updated on December 31, 2023 8:48 pm by প্রতি সময়