ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মেম্বারদের সংবাদ সম্মেলন#
কুমিল্লার তিতাস উপজেলার ৭নং নারান্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সালাহউদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে চৌদ্দ অভিযোগনামা নিয়ে মাঠে নেমেছে একই পরিষদের সাত মেম্বার। ইতিমধ্যে তারা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরে চেয়ারম্যানের অনিয়ম, দুর্নীতি, প্রকল্পের নামে অর্থ আত্মসাতসহ চৌদ্দটি কার্যকলাপ তুলে ধরে অভিযোগ করেছেন।
এসব অভিযোগের সুষ্ঠু ও দ্রুত তদন্ত করে বিধি অনুযায়ি ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানিয়ে মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) দুপুরে কুমিল্লা নগরীর একটি হোটেলে সাংবাদিক সম্মেলন করেন ভূক্তভোগী ও ইউপি মেম্বাররা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ৯নং ওয়ার্ডের মেম্বার বিল্লাল হোসেন। এসময় ইউপি মেম্বারদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ৩ নং ওয়ার্ডের মনির হোসেন, ৪ নং ওয়ার্ডের মাসুম মোল্লা, ৫নং ওয়ার্ডের জুলফিকার আলী ভূঁইয়া, ৭ নং ওয়ার্ডের মোকবুল হোসেন, ৮নং ওয়ার্ডের ফরিদ সরকার। অসুস্থতার কারনে উপস্থিত হননি ৪,৫,৬ নং ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার রোকসানা। এছাড়াও সংবাদ সম্মেলনে নারান্দিয়া ইউপি আওয়ামী লীগের সভাপতি আরিফুজ্জামান খোকা, সাংগঠনিক সম্পাদক আলী আসকর ভূঁইয়া, তিতাস উপজেলা যুবলীগ নেতা মো. মির্জা হোসাইন, কামাল পারভেজসহ এলাকার ভূক্তভোগী অর্ধশতাধিক লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ইউপি চেয়ারম্যান সালাহউদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে সাত মেম্বারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তের জন্য স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ ইপ-১ অধিশাখা হতে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গত ২৪ জুন পত্র দেয়া হলেও উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা সরেজমিন তদন্ত না করে নানা টালবাহানায় কালক্ষেপণ করছেন।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, বয়স্ক ভাতা থেকে ৫শ টাকা করে অবৈধভাবে আদায়ের অভিযোগের তদন্তে প্রমানীত হলে প্রায় ৪ মাসেও ওই চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কোনোও ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। অভিযোগে আরো বলা হয়, ২০১৭ সালের ২ ফেব্রæয়ারি মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকালে উক্ত চেয়ারম্যান তার লোকজন নিয়ে ইউএনওকে বাঁধা প্রদানের অভিযোগে ওই চেয়ারম্যানকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছিল। পরে উক্ত চেয়ারম্যান হাইকোর্টে মামলা করে এখনো বহাল আছেন এবং মামলাটি চলমান রয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘মেম্বারদের এসব অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট। ওই সাত মেম্বার নিজেরাই দুর্নীতিতে জড়িত। তাদেরকে এসব ছেড়ে ভালো পথে আসার আহবান জানানোর কারণেই তারা আমার বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগেছে। ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ তাদের অনৈতিক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে।’
স্থানীয় সরকার কুমিল্লার উপ-পরিচালক মো. শওকত ওসমান বলেন, ‘মেম্বারদের অভিযোগ তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ইউএনওকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে বয়স্ক ভাতা থেকে ৫শ টাকা করে অবৈধভাবে আদায়ের বিষয়টি সমাজসেবা বিভাগ দেখবে।’
এদিকে ১৪ দফা অভিযোগের বিষয়টি তদন্তের জন্য স্থানীয় সমাজসেবা কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এবিষয়ে তিতাস উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. সেতারুজ্জামান বলেন, ‘অভিযোগ তদন্তের জন্য ৩ সদস্যের কমিটি কাজ করছে। সরেজমিন তদন্তের ক্ষেত্রে টালবাহানা ও কালক্ষেপণ করার অভিযোগ সঠিক নয় বলে তিনি দাবি করেন। তবে বয়ষ্ক ভাতা থেকে টাকা আদায়ের বিষয়ে প্রতিবেদন এখনো পাননি বলে তিনি জানান।’
#দেশ-বিদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে protisomoy ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে এবং ভিডিও খবর দেখতে protisomoy news ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করে অ্যাকটিভ থাকুন।
Last Updated on October 6, 2020 1:01 pm by প্রতি সময়