কুমিল্লার দাউদকান্দিতে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে আমির হোসেন (৬০) নামের এক প্রতিবন্ধী বৃদ্ধকে কোদাল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
কোদাল দিয়ে কুপিয়ে হত্যার সিসিক্যামেরায় ধারণকৃত ৪৮ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ফুটেজ মুহূর্তের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
মঙ্গলবার (১৩ জুন) সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে উপজেলার ইলিয়টগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়নের টামটা গ্রামে এ নৃশংস হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। নিহত আমির হোসেন টামটা গ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশ জানিয়েছে,এ ঘটনায় মূল হত্যাকারী পল্লী চিকিৎসক ওসমান গনি নাসিমসহ পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ।
আটকৃতরা হলেন,শামীম ওসমান(৪৮),শাহাদাত(৩৫), মো.সিয়াম(২৭) ও সিহাব(২৯)।
উপজেলা গৌরীপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ওসি আসাদুজ্জামান আসাদ এ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন,তাৎক্ষণিক এ খবর পেয়ে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে মূল হত্যাকারীসহ ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ।মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ জানান ও ধারণকৃত ভিডিওতে দেখা যায়, বাড়ির পাশে সড়কে হুইল চেয়ারে বসে ছিলেন প্রতিবন্ধী আমির হোসেন। এ সময় পল্লী চিকিৎসক ওসমান গনি নাসিম জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে হঠাৎ করে হাতে কোদাল নিয়ে আমির হোসেনের ঘাড়ে পরপর কয়েকটি আঘাত করেন। এসময় আমির হোসেন হুইল চেয়ার থেকে সড়কে পড়ে কাতরাতে থাকেন।তারপরও আরো জোরে কোদাল কয়েকটি আঘাত করে আমির হোসেনকে গুরুতর আহত করে ঘটনাস্থল থেকে হেঁটে বাড়িতে চলে যান ওসমান গনি নাসিম ।গুরুতর আহত ওই প্রতিবন্ধী বৃদ্ধকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
দাউদকান্দি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আলমগীর ভূঞা জানান,দীর্ঘদিন যাবত আমির হোসেনের সাথে পল্লী চিকিৎসক ওসমান গনি নাসিমের জমি সংক্রান্ত বিরোধ ছিল।তারা সর্ম্পকে মামাতো-ফুফাতো ভাই। এ হত্যার ঘটনায় ওসমান গনি নাসিমসহ পাঁচ জনকে আটক করা হয়েছে।আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে টামটা গ্রামে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য,২০২১ সালে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে পল্লী চিকিৎসক ওসমান গনি নাসিমের পরিবারের সাথে ঝগড়া বিবাদের এক পর্যায়ে প্রতিবন্ধী আমিরের ছেলে গিয়াস উদ্দিন (৩৫)মৃত্যুবরণ করেন। ওই সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে মর্মে থানায় ইউডি মামলা হয়।
Last Updated on June 13, 2023 8:16 pm by প্রতি সময়