ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার দাউদকান্দিতে কে কে ট্রাভেলসের একটি বাসের চাপায় অটোরিকশায় থাকা একই পরিবারের তিন জন নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার বিকাল ৪ টায় মহাসড়কের জিংলাতলী এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আহত হয়েছেন ৩০ বাস যাত্রী।
নিহতরা হলো- দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর ইউনিয়নের পেন্নাই গ্রামের হাজারী বাড়ীর মৃত রশিদ হাজারীর স্ত্রী রোসিয়া বেগম (৬২), ও তার আপন বড় বোন বারপাড়া গ্রামের মৃত রেনু মিয়ার স্ত্রী ফজিলাতুন্নেছা (৬৫) এবং তার পুত্রবধু সুমাইয়া আক্তার (২৫)।
প্রত্যক্ষদর্শী ও আহত বাসযাত্রীরা জানান, ঢাকা থেকে নোয়াখালীগামী কে কে ট্রাভেলসের যাত্রীবাহী একটি বাস উল্টো পথে আসা একটি অটোরিকশাকে চাপা দেয়। এ সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি পাশের খাদের পানিতে পড়ে যায়। দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই অটোরিকশার যাত্রী ফজিলাতুন্নেছা এবং রোসিয়া বেগম মারা যায়। তারা দু’জন আপন বোন। তাৎক্ষনিক দাউদকান্দি ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা দূর্ঘটনা কবলিত বাস ও অটোরিকশার আহত যাত্রীদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গৌরীপুরে পাঠায়। পরে ঢাকা মেডিকেল নেয়ার পথে সুমাইয়া আক্তার নামে আরো একজন মারা যায়। সে অটোরিকশার যাত্রী ছিল।
দূর্ঘটনা কবলিত বাস যাত্রীরা জানান, ঢাকা থেকে কে কে ট্রাভেলসের এসি বাসে নোয়াখালী যাচ্ছিলাম। গৌরীপুর পার হওয়ার পর জিংলাতলী এলাকায় উল্টো পথে আসা একটি অটোরিকশাকে রক্ষা করতে গিয়ে বাসটি খাদে পড়ে যায়।
নিহতদের স্বজন রুহুল আমিন ও লোকমান হাজারী বলেন, ফজিলাতুন্নেছা ছেলে আব্দুল মান্নানের শশুর বাড়ী ছান্দ্রা বেড়াতে গিয়েছিল। সেখান থেকে ফেরার পথে দুর্ঘটনায় আমাদের একই পরিবারের তিনজন মারা যায়।
দাউদকান্দি হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক মো. মহসিন জানান, বাসের চালক ও হেলপার পলাতক।
Last Updated on October 19, 2023 9:04 pm by প্রতি সময়