কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর পশ্চিম বাজার ঈদগাহ এলাকায় খুন হওয়া তিতাস উপজেলার যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক জামাল হোসেনকে বোরকা পরা মুখোশধারী সন্ত্রাসীরা গুলি করেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে এ খুনের ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত ও আটক করতে র্যাব, সিআইডিসহ পুলিশের একাধিক টিম অভিযানে নেমেছে।
সোমবার( ১মে) সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত র্যাব,সিআইডি ও পুলিশের একাধিক টিমসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এদিকে নিহত যুবলীগ নেতা জামাল হোসেনের দাফন আজ সোমবার রাত সোয়া সাতটায় উপজেলার জিয়ারকান্দি গ্রামে সম্পন্ন হয়েছে। খুনের ঘটনায় এখন পর্যন্ত পরিবারের পক্ষ থেকে কোন মামলা দায়ের করা হয়নি বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দাউদকান্দি মডেল থানার ওসি আলমগীর হোসেন।
এদিকে খুনের ঘটনার বিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রোববার (৩০ এপ্রিল) রাত ৮ টায় জামাল হোসেন উপজেলার গৌরীপুর বাজার মসজিদে এশার নামাজ আদায় করতে যাওয়ার সময় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ওই স্থানে অবস্থান নেওয়া বোরকা পরা একদল সন্ত্রাসী তাকে লক্ষ্য করে কয়েকরাউন্ড গুলি করে।এতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন জামাল হোসেন।তার মৃত্যু নিশ্চিত করে খুনিরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
এ সময় স্থানীয়রা জামাল হোসেনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মো. মোয়াজ্জেম আহমেদ তাকে মৃত ঘোষণা করেন। চিকিৎসক বলেন, নিহতের শরীরে গুলির চিহ্ন দেখা গেছে।
বেঁচে আছে এমন আশায় পরিবারের লোকজন তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসকও তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে গৌরীপুর বাজারে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় বাজারের ব্যবসায়ীদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
ধারণা করা হচ্ছে, গৌরীপুর বাজারের স্থানীয় ও পার্শ্ববর্তী তিতাস উপজেলার জিয়ারকান্দি এলাকার মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এ হত্যার ঘটনা ঘটতে পারে।
উপজেলার গৌরীপুরে চাঞ্চল্যকর যুবলীগ নেতা জামাল হোসেন হত্যা ঘটনার তদন্ত কাজ সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব ও দক্ষতা দিয়ে দ্রুত সম্পন্ন করা হবে বলে জানিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
একইসঙ্গে নেপথ্যে ও হত্যায় জড়িতদের শনাক্ত করে দ্রুত বিচারের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন তারা।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে কুমিল্লা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আফজাল হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, আমাদের সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব ও দক্ষতা দিয়ে এ মামলাটির দ্রুত তদন্ত করবো। এ মামলায় তদন্তকালে সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া যাবে তাদের প্রত্যেককে অভিযুক্ত করে আমরা দ্রুত বিচারের আওতায় আনবো। আর এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার্থে পুলিশকে সহযোগিতা করা এবং এ বিষয়ে সবাইকে সচেতন থাকার আহবান জানান তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন,পুলিশ সুপার (সিআইডি) জাকির হোসেন, র্যাব-১১ সিপিসি-২ (কুমিল্লা) উপ-পরিচালক মেজর মোহাম্মদ শাকিব হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সিআইডি) এনামুল হক, সহকারী পুলিশ সুপার (হোমনা সার্কেল) মো. মহসিন।
Last Updated on May 1, 2023 8:00 pm by প্রতি সময়