করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে কঠোর লকডাউনের সাড়া কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার পৌর সদর, গৌরীপুর, ইলিয়টগঞ্জ, রায়পুর, শহীদনগরসহ প্রধান বাজারগুলোতে পড়লেও প্রভাব ফেলতে পারেনি বিভিন্ন ইউনিয়নের মানুষ ও বাজারগুলোতে।কঠোর লকডাউনের চতুর্থ দিনেও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কসহ উপজেলার প্রধান বাজারগুলোতে প্রশাসন এবং আইনশৃংখলা বাহিনীর ব্যাপক তৎপরতা লক্ষ্য করা গেছে।
দাউদকান্দি উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের হাটবাজারগুলোতে সব সময় ভোর ৬টা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত এবং বিকাল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত লোকজনের সমাগম থাকে।
এসব হাটবাজারে আগের মতোই নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজে গ্রামঞ্চলের মানুষের যাতায়াত রয়েছে। আবার তাদের মাস্ক ব্যবহারের প্রতি অনিহাও দেখা যায়।
দাউদকান্দি সদর উত্তর ইউনিয়নের চেঙ্গাকান্দি, হাসনাবাদ, বাহেরচর বাজারে লকডাউনের কোনো চিত্র দেখা যায়নি। পৌরসভা সংলগ্ন এ ইউনিয়নটি গোমতী নদীর ওপারে অবস্থানের কারণে সেখানে প্রশাসনের তৎপরতা নেই। হাসনাবাদ গ্রামের সামছুল হক জানান, এখানে লকডাউনের কোনো প্রভাব নেই।
লকডাউনের কারণে উপজেলার প্রধান বাজারগুলোর দোকানপাট বন্ধ থাকায় পাড়া মহল্লার চায়ের দোকানে চলে আড্ডা। তাই গ্রামঞ্চলে ইউনিয়ন ভিত্তিক চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে ও পৌরসভার ওয়ার্ড কাউন্সিলর নেতৃত্বে পাড়া মহল্লায় প্রশাসনের নজরদারী বাড়ানোর কথা বলছেন সচেতন মহল।
দাউদকান্দি পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের দৌলতপুর বৌ-বাজার, ২নং ওয়ার্ডের কৃষ্ণপুর, বাড়াগাঁও, ৩নং ওয়ার্ডের হাসানপুর এবং ৪নং ওয়ার্ডের তুজারভাঙ্গা বেপারীবাড়ি সংলগ্ন চার রাস্তার মোড়ের চায়ের দোকানগুলোতে বিকাল থেকে শুরু করে সন্ধ্যা পর্যন্ত মানুষের ভিড় থাকে। বেশিরভাগ মানুষের মুখে মাস্ক নেই, সামাজিক দূরত্ব নেই।
তুজারভাঙ্গা গ্রামের সোহেল মোল্লা নামের এক ব্যবসায়ী বলেন,আগেও লকডাউন গ্রামঞ্চলের মানুষের মাঝে প্রভাব ফেলতে পারেনি এখনো একই পরিস্থিতি।মানুষ দিব্বি চায়ের দোকানে বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় আড্ডা দিয়ে কথা বার্তা বলে সময় কাটাচ্ছে।
দাউদকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো.কামরুল ইসলাম খান বলেন, প্রথম দুই দিনের মতো আজ রবিবারও প্রশাসন, সেনাবাহিনী, আইনশৃংখলা বাহিনী সবাই মাঠে ছিলো।এখন থেকে গ্রামঞ্চলের বাজারগুলোতে নিয়মিত টহল জোরদার করা হবে।
# দেশ-বিদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে প্রতিসময় (protisomoy) ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।
Last Updated on July 4, 2021 8:24 pm by প্রতি সময়