- অভিযোগে একজন গ্রেফতার" />
কুমিল্লার দেবিদ্বারে দশম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে (১৬) ধর্ষণের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ মো.অলিউল্লাহ নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার অলি উল্লাহ (১৯) মোহাম্মদপুর গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের ছেলে।
বৃহস্পতিবার রাতে ওই যুবককে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। এ ঘটনায় ওই রাতেই ছাত্রীর বাবা দেবিদ্বার থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
এর আগে গত বুধবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার এলাহাবাদ ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী ছাত্রী ঝালকাটি জেলার নলছিটি উপজেলার মানপয়সা গ্রামের বাসিন্দা। বর্তমানে সে তার পরিবারের সাথে গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক গ্রামে ভাড়া বাসায় থাকেন এবং স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণীতে পড়েন।
জানা যায়, কোরবানি ঈদের দুই দিন আগে দেবিদ্বার উপজেলার এলাহাবাদ ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর গ্রামে নানার বাড়িতে বেড়াতে আসেন ওই ছাত্রী। এক পর্যায়ে স্থানীয় আবদুল কুদ্দুসের ছেলে পারভেজ ওই কিশোরীকে প্রেমের প্রস্তাব দিলে ওই কিশোরী তা প্রত্যাখান করে। এতে পারভেজ ক্ষিপ্ত হয়ে তার তিন বন্ধু রিয়াজ, অলিউল্লাহ, নুরুল ইসলামকে সাথে নিয়ে বুধবার (৫ জুলাই) রাতে ওই কিশোরীর নানার বাড়ির আশপাশে অবস্থান নেয়। রাত ১০টার দিকে ওই কিশোরী প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘর থেকে বের হলে তার মুখ চেপে পাশের একটি বাঁশ ঝাড়ের ভিতর নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন পারভেজ। পরে নুরুল ইসলাম ওই কিশোরীকে ধর্ষণের চেষ্টা করলে অন্য অন্যরা তার মুখ চেপে ধরে রাখেন। পরে ওই ছাত্রী জোড়াজোড়ি করে মুখ খুলে চিৎকার দিলে পারভেজসহ অন্য আসামীরা পালিয়ে যায়।
ওই কিশোরীর মামি জানান, পারভেজ ঈদের পর থেকে আমার ভাগনিকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। রাতে আমার ভাগনির চিৎকার শুনে আমরা দৌড়ে ঘটনাস্থলে গেলে কাপড়চোপরে কাঁদা ও ছেঁড়া দেখতে পেয়ে ঘটনার সম্পর্কে জানতে চাই। পরে সে ধর্ষণের বিষয় আমাদের জানায়। আমরা তাকে উদ্ধার করে ঘরে নিয়ে আসি।
এ বিষয়ে দেবিদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ কমল কৃষ্ণ ধর বলেন, ভোক্তভোগী ওই কিশোরীকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল হাসপাতাল (কুমেক) পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় তার বাবা বাদী হয়ে দেবিদ্বার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার এজহার নামীয় আসামী অলিউল্লাহকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
Last Updated on July 7, 2023 8:01 pm by প্রতি সময়