
কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলা প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম রাজীবের ওপর হামলার ঘটনার বিচার করে দেওয়ার আশ্বাস দিলেও এখনও তা হয়নি।বিষয়টি নিয়ে ভক্তভোগী সাংবাদিক এখনও আতঙ্কে রয়েছেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দেবিদ্বার উপজেলা চেয়ারম্যানের সরকারি বাসভবনের বাইরে ও ভেতরে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
বুধবার (১নভেম্বর) সন্ধ্যায় হামলার শিকার সাংবাদিক শফিউল আলম রাজীব জানান, সম্প্রতি একটি ঘটনার প্রকাশিত সংবাদের ফলোআপ রিপোর্ট করার জন্য বক্তব্য নিতে ফোনে কথা বলে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দেবিদ্বার উপজেলার জাফরগঞ্জ ৮নং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহিদুল আলমের সঙ্গে দেখা করতে দেবিদ্বার উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদের সরকারি বাসভবন গোমতী’র সামনে যাই। এসময় কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদুল আলমের সঙ্গে থাকা বিল্লাল গাজী, আফসান রুবেলসহ ৩/৪ জন লোক প্রথমে গালমন্দ ও পরে আমার ওপর হামলা করে।তখন আমি কোনরকমে দৌড়ে উপজেলা চেয়ারম্যানের সরকারি বাসভবনে ঢুকে বিষয়টি উপজেলা চেয়ারম্যানকে জানাতে গেলে ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদুল আলম পুনরায় বাসভবনের ভেতরে আমাকে ফের মারধর করে।আমি বিষয়টি উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানিয়েছি।
জাফরগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহিদুল আলম হামলার ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, সাংবাদিকের ওপর কোনো প্রকার হামলারঘটনা ঘটেনি। তবে তার সঙ্গে আমার কথা কাটাকাটি হয়েছে, যা আমার করা ঠিক হয়নি। বিষয়টি দ্রুত মীমাংসা করার জন্য গুনাইঘর উত্তর ইউপি চেয়ারম্যান মোকবল হোসেন মুকুলকে দায়িত্ব দিয়েছেন উপজেলা চেয়ারম্যান।
এ ব্যাপারে দেবিদ্বার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ জানান, বিষয়টি মীমাংসার জন্য সুলতানপুর ও গুনাইঘর ইউপি চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এদিকে এঘটনার নিন্দা জানিয়ে দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবি করেছে দেবিদ্বার উপজেলা প্রেসক্লাব নেতবৃন্দ।বুধবার এক বিবৃতিতে প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ জানান, একদিন পার হলেও বিষয়টির সুষ্ঠু মিমাংসা করা হচ্ছে না।মিমাংসার নামে কোন প্রহসন মেনে নেওয়া হবে না।