# কুমিল্লায় জাতীয় বরীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদের আলোচনা সভায় বক্তারা" />
বাঙালি সংস্কৃতির সাথে রবীন্দ্র-নজরুল নামটি গেঁথে রয়েছে। বাঙালি জাতিসত্ত্বা প্রতিষ্ঠা ও মুক্তিযুদ্ধের ভাবাদর্শের বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে তাঁদের সৃজনশীলতা ও জীবন দর্শনের মৌলিক বিষয়াদির প্রাসঙ্গিকতা রয়েছে। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ও বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবদান বিশ্ব স্বীকৃত। এই দুই কবির কবিতা ও গান আন্দোলন সংগ্রামসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সংকটে অনুপ্রেরণার অন্যতম উৎস ছিল। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ও দ্রোহের কবি নজরুলের সাহিত্য চর্চা সম্পর্কে জানতে হবে। নতুন প্রজন্মকে তাঁদের জীবনদর্শন জানাতে হবে। অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বির্নিমাণে এই চর্চা ভূমিকা রাখবে।
শনিবার ( ৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় কুমিল্লা নগরীর নবাব ফয়জুন্নেছা সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় অডিটারিয়ামে অনুষ্ঠিত জাতীয় বরীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদ কুমিল্লা শাখার উদ্যোগে বিশ্বকবি বরীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং জাতীয় কবি কাজী নজরল ইসলামের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
আগুনের পরশমণি, দাও শৌর্য, দাও ধৈর্য হে উদার নাথ গান গেয়ে প্রদীপ প্রজ্বলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়।
এরপর সংগঠনের সভাপতি প্রফেসর নিখিল চন্দ্র রায়ের সভাপতিত্বে ও স্নিগ্ধা চক্রবতীর সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বিজন কুমার চক্রবর্ত্তী। আলোচনায় অংশ নেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসক খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান, অধ্যাপক নারায়ণ চক্রবর্তী, অধ্যাপক ড. মো. মুনিরুজ্জামান, ড. মো. আলী হোসেন চৌধুরী।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক নিখিল চদ্ৰ রায় বলেন সমাজ ও সংস্কৃতিতে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখছে রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায়, অসাম্প্রদায়িক মনন গঠন ও সুস্থ সংস্কৃতির চর্চায় এ সংগঠন কাজ করে যাছে।
আলোচনা শেষে সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় মিতা পাল, রুমা নাথ ও আলপনা দাসের সংগীত পরিচালনায় তুমি আমাদের পিতা, বিজন গোটে কে রাখাল বাজায় বেণু, নিশার স্বপন, জাতের নামে বজ্জাতি সব এ গানগুলো সম্মেলক কন্ঠে গাওয়া হয়। এতে জাতীয় ববীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদ কুমিল্লা শাখার শিল্পিরা অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন প্রাঞ্জল, প্রণব, আদৃতা, নন্দিনী, শারন্যা, শ্রেয়সী, হৃদি,ত্রয়ী, কোয়েল, জয়ীতা, সপ্তষী, অভিনয়, অর্ক, দেবজিত, অর্ঘ্য, অতশী, প্রকৃতি, প্রজ্ঞা, ভৌমিকা, নিকিতা, অর্পিতা,নতনুশ্রী, প্রীয়ন্তি, পূজা, সংগীকা, রীপা, আলপনা, বন্যা, আরাত্রিকা, নোভা, রঞ্জন,নহুমায়ুন কবির, সেলিম,নপ্রলিপ, মনীষা, পুস্পিতা, প্রাচী, শায়েলা ও টুসী।
অতিথি শিল্পী হিসেবে সংগীত পরিবেশন করেন গুরুদাস ভট্টাচার্য। আবৃত্তি করেন বদরুল হুদা জেনু ও তপন সাহা।
নৃত্য পরিবেশন করেন রিয়া চক্রবর্তী ও তনুশ্রী দাস।
সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় যন্ত্র শিল্পীদের মধ্যে ছিলেন তবলায় কীবোর্ডে শ্যামাপ্রসাদ ভট্টাচার্য ও তবলায় সঞ্জয় দেব।
Last Updated on September 9, 2023 10:55 pm by প্রতি সময়