কুমিল্লার নাঙ্গলকোট থেকে দুগ্ধপোষ্য শিশুকে প্রতারণা করে চুরির অপরাধে এক নারীকে দশ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। সোমবার (৪ মার্চ) বিকেলে কুমিল্লার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল এবং মানবপাচার অপরাধ দমন ট্রাইবুনাল-১ এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত নারীর নাম খুকুমনি।তিনি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার হাতিয়ানি গ্রামের ফটিক মিয়ার মেয়ে। রায় ঘোষণার সময় আসামি খুকুমনি পলাতক থাকায় আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৯টার দিকে দুগ্ধপোষ্য শিশু আবদুল্লাহর মা তানিয়া বেগম কুমিল্লা নাঙ্গলকোট উপজেলার পরিকোট (দক্ষিণ পাড়া) গ্রামে নিজ বাড়িতে তার শিশুপুত্র নিয়ে ঘরে অবস্থান করছিলেন।ওইদিন বোরকাপড়া অবস্থায় খুকুমনি ওই বাড়িতে এসে শিশু আবদুল্লাহর মাকে সরকারি শিশুভাতার কার্ড করে দেওয়ার নামে ছবি তোলার জন্য পাশ্ববর্তী বাঙ্গড্ডা বাজারে পালকি ডিজিটাল স্টুডিওতে নিয়ে যায়। এক পর্যায়ে কৌশলে শিশুটিকে কোলে নিয়ে লাপাত্তা হয়ে পড়ে খুকুমনি।
অনেক খোঁজাখুঁজির পরও শিশু আবদুল্লাহকে না পেয়ে ওই নারীর পরিচয় সংগ্রহ করে পরদিন ১৪ ফেব্রুয়ারি নাঙ্গলকোট থানায় শিশুটির চাচা মামলা করেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোঃ আশ্রাফুল ইসলাম পরদিন ১৫ ফেব্রুয়ারি আসামি খুকুমণিকে গ্রেফতার করে এবং তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ি দুগ্ধপোষ্য শিশু আবদুল্লাকে উদ্ধার করা হয়।
পরবর্তীতে খুকুমনি জামিনে বের হয়ে পলাতক হয়ে পড়েন। আসামি খুকুমনির বিরুদ্ধে পুলিশ আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। এরপর স্বাক্ষী ও যুক্তিতর্ক শেষে পলাতক আসামি খুকুমনিকে মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে দশ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের রায় প্রদান করেন আদালতের বিচারক।
Last Updated on March 4, 2024 7:50 pm by প্রতি সময়