যেকোনো বিষয়ে সফলতা লাভের পূর্বশর্ত হচ্ছে নিয়মিত অধ্যয়ন ও অনুশীলন করা। এতে কোনো বিষয়ে কোনো ঘাটতি থাকলে আস্তে আস্তে তা অপসারিত হয়ে পরিপক্কতা আসে। তাই নিয়মিত অধ্যয়নের কোনো বিকল্প নাই।এক্ষেত্রে অভিভাবকদের সচেতনমূলক ভূমিকা সন্তানের সামনে এগিয়ে চলাকে তরান্বিত করবে।
ধারাবাহিক পাঠ্যপুস্তক অধ্যয়নঃ
ছাত্রজীবনে ধারাবাহিক পাঠ্যপুস্তক অধ্যয়নের কোনো বিকল্প নেই। কেননা বারংবার চর্চার মাধ্যমে কম আয়ত্বে আসা অধ্যায়গুলোও ধীরে ধীরে আয়ত্বে আসে। এভাবে প্রতিটি অধ্যায়ের উপর পরিষ্কার ধারণা জন্মাবে। ফলে একজন শিক্ষার্থী তার কাংখিত লক্ষে সহজেই ধাবিত হতে পারবে।
অভিভাবকের দায়িত্বশীলতাঃ
আমরা শিক্ষকরা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি- অভিভাবক বিদ্যালয়ের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। অভিভাবকের সচেতনতায় বাসায় শিক্ষার্থীর জন্য শিক্ষার উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি হয়ে থাকে। তাই প্রত্যেক অভিভাবককে তাঁর বাসার পরিবেশ সম্পর্কে সচেতন হবেন। বিদ্যালয়ের পাঠদান বাসায় নিয়মানুসারে অধ্যবসায় করার ব্যাপারে অভিভাবকরা সারা বছরই দায়িত্বশীল হবেন।
সবসময় সন্তানের খোঁজখবর রাখাঃ
একজন অভিভাবকের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব সন্তানের শিখন অগ্রগতির খোঁজখবর রাখা। এক্ষেত্রে সন্তানের জন্য পর্যাপ্ত সময় দিতে হবে। একজন দায়িত্বশীল অভিভাবক হিসেবে সন্তানের বিদ্যালয়ের প্রতিদিনের শ্রেণির কাজ, বাড়ির কাজ ও মূল্যায়ন পরীক্ষার অগ্রগতির খোঁজখবর রাখতে হবে। এর ফলে আপনার সন্তানেরা তাদের লেখাপড়া ও সৃজনশীল কাজের প্রতি আরও যত্নবান হয়ে ওঠবে।
হাতের লেখার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেওয়াঃ
হাতের সুন্দর লেখা এক প্রকার শিল্প, যা ধারাবাহিক অনুশীলনের মাধ্যমে আয়ত্ব করতে হয়। পরীক্ষায় ভালো ফলাফল অর্জনে হাতের সুন্দর লেখা নামক শিল্পটি বিশেষ ভূমিকা রাখে। কেননা পরীক্ষার খাতায় লেখা ভালোভাবে পড়তে না পারলে কোনো ভাবেই কোনো ছাত্র/ছাত্রী তার কাংখিত ফলাফল অর্জন করতে সক্ষম হবে না। তাই ছোটবেলা থেকেই এই বিষয়ের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে।
অবসরের সৃজনশীলতাঃ
আপনার সন্তানকে বিদ্যালয়ে পাঠিয়েই আপনার দায়িত্ব শেষ নয়, তাকে খেলাধুলা ও সৃজনশীল কাজের চর্চায় নিয়োজিত রাখতে হবে। যাতে সে কোনভাবেই একগেয়েমীর মধ্যদিয়ে বড় না হয়, এজন্য আত্মীয়স্বজন, পাড়াপ্রতিবেশী ও সমাজের ভালো মানুষের সঙ্গে মেশার সুযোগ তৈরি করতে হবে।
সর্বোপরি আপনার শিশুসন্তানকে ধর্মীয়, নৈতিকতা, শিষ্টাচার শেখাতে হবে। যাতে তার আচার–আচরণ সুন্দর হয় এবং সমাজে সবার ভালোবাসা ও সহানুভূতি লাভ করে। আর আমরাতো বিদ্যালয়ে তার এ বিষয়গুলোর প্রতি নজর রাখবো, সে বাড়ির পরিবেশ থেকে কী শিক্ষা অর্জন করলো।
লেখক :
মোঃ ফারুকুল ইসলাম
সিনিয়র শিক্ষক
নজরুল মেমোরিয়াল একাডেমী,কুমিল্লা
Last Updated on May 22, 2023 1:48 pm by প্রতি সময়