কুমিল্লার লাঙ্গলকোটে পরকীয়া সম্পর্ক দেখে ফেলায় সাকিব হোসেন (২০) নামের যুবককে পরিকল্পিতভাবে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় গ্রেফতার আসামি মফিজুল ইসলাম (৫৩) দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দিদারুল আলমের আদালতে গ্রেফতার মফিজুলের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।
জবানবন্দি রেকর্ড শেষে বিচারকের নির্দেশে আসামি মফিজুলকে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আজমপুর রেলস্টেশন থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। মফিজুল ইসলাম সুনামগঞ্জের দোয়ারা বাজার উপজেলার কলাউড়া গ্রামের মৃত কালা মিয়ার ছেলে।
নাঙ্গলকোট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে নাঙ্গলকোট উপজেলার সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের সাতবাড়িয়া দক্ষিণপাড়া গ্রামের মৃত বাবুল মিয়ার টয়লেটের ট্যাংকি থেকে সাকিব হোসেনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় সাকিবের বাবা মো. আনোয়ার হোসেনের বাদী হয়ে নাঙ্গলকোট থানায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। পরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় প্রতিবেশী ইব্রাহীমের ঘরের ভাড়াটিয়া মফিজুল ইসলামকে বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আজমপুর রেলস্টেশন থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি হত্যার দায় স্বীকার করেন।
শুক্রবার বিকেলে সাকিব হোসেন হত্যা মামলায় আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন আসামি মফিজুল।
জবানবন্দিতে দেওয়া তথ্যের বরাতে ওসি দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, সাতবাড়িয়া দক্ষিণপাড়া গ্রামের সুফিয়া বেগম নামে এক নারীর সঙ্গে তার পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। সাকিব তাদের ঘনিষ্ট সম্পর্ক দেখে ফেলায় সমাজে জানাজানি হয়ে যাবে এবং সুফিয়া বেগমের সংসার ভেঙে যাবে এ আশঙ্কায় দুজন মিলে এই হত্যার পরিকল্পনা করে।
ওসি দেবাশীষ আরও জানান, গত ১ সেপ্টেম্বর রাতে প্রথমে আসামি মফিজুল লেবুর শরবতের মধ্যে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে সাকিবকে খাওয়ায়। এতে সাকিব গভীর ঘুমে অচেতন হয়ে যান। মধ্যরাতে মফিজুল ও সুফিয়া তাকে বাড়ির বাইরে নিয়ে গামছা দিয়ে গলায় পেঁচিয়ে সাকিবকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে দুজন মিলে সাকিবের লাশ টয়লেটের ট্যাংকিতে ফেলে দেয়। এরপর মফিজুল আত্মগোপনে চলে যায়।
Last Updated on September 9, 2023 8:55 pm by প্রতি সময়