
তীব্র তাপদাহের প্রভাবে স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান কার্যক্রম চলাকালীন সময়ে পর্যাপ্ত পানি পান নিশ্চিত করতে ‘পানি ঘন্টাধ্বনি’ ব্যবহার কার্যক্রম কুমিল্লার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চালু হয়েছে।
চলমান তাপপ্রবাহে শিক্ষার্থীরা যাতে পানি খেতে ভুলে না যায় সেজন্য কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শনিবার জেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রতি ঘণ্টায় ‘পানি ঘণ্টা’ চালু ও পানি সরবরাহের জন্য নির্দেশনা দিয়ে চিঠি পাঠানো হয়। এ চিঠি প্রাথমিক ও জেলা শিক্ষা অফিসার এবং সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সরবরাহ করা হয়।
জেলা প্রশাসনের সেই নির্দেশনা অনুযায়ি আজ রোববার থেকে কুমিল্লা জেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ‘পানির ঘন্টাধ্বনি’ ব্যবহার কার্যক্রম চালু করা হয়।
এবিষয়ে জেলা প্রশাসক খন্দকার মু: মুশফিকুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, প্রচন্ড তাপদাহে শিক্ষার্থীদের কিছুটা স্বস্তি দিতে আমরা নিজস্ব উদ্যোগে ব্যতিক্রমী এ পানি ঘণ্টা চালু করেছি। যতদিন তাপপ্রবাহ অধিক থাকবে, পানি ঘণ্টা ততদিন চালু থাকবে।
জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ি রোববার কুমিল্লার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর সকল ক্লাশে শিক্ষার্থীদের পানি পান করার জন্য সময় নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। যা পানি ঘন্টাধ্বনি হিসেবে শিক্ষার্থীদের কাছে পরিচিতি পেলো। পানি পানের জন্য ঘন্টা বেঁজে উঠবে এমন একটি নতুন বিষয় শিক্ষার্থীরা বেশ আমেজের সঙ্গেই গ্রহণ করেছে। আর তাই তো পানি পানের ঘন্টা ধ্বনিতে পানি পfন করেছে শিক্ষার্থীরা। আবার শিক্ষকরাও সরবরাহ করেছেন পানি।